Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের কমিটিতে বিতর্কিতরা, প্রতিবাদে মিছিল

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ৩১৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ। ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম

সম্মেলনের সাড়ে চার বছর পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ৩১৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এক বছর মেয়াদি এই কমিটি ঘোষণা করে। তবে কমিটিতে মামলার আসামি, বিবাহিতসহ বিতর্কিত অনেকে ঠাঁই পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে পদবঞ্চিতদের একটি অংশ সোমবার বিকেলে ফটিকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে মারামারি হয়। এতে সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। এরপর ওই বছর ৫ মে তানভীর হোসেন চৌধুরীকে সভাপতি ও রেজাউল করিমকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি গঠনের এত বছর পর এসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। যদিও ছাত্রলীগের জেলা কমিটির মেয়াদ থাকে এক বছর।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুই পদের বাইরে আরও ৩১৪ জনকে নতুন করে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে অছাত্র, মামলার আসামি ও বিবাহিত অনেককে স্থান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

কমিটি থেকে অছাত্র, মামলার আসামি ও বিবাহিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সোমবার বিকেলে ফটিকছড়ি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বঞ্চিতদের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিবিরহাট এলাকায় গিয়ে ফটিকছড়ি–খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা সাজেদ চৌধুরী, আবু শোয়াইব, আজাদ সিকদার, ছলিমউল্লাহ প্রমুখ।

উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নবঘোষিত কমিটিতে অছাত্র, মামলার আসামি ও বিবাহিতদের জয়জয়কার। যোগ্য অনেকের জায়গা হয়নি। এ কারণে ফটিকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ হয়েছে।

জানতে চাইলে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, অনেকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো তদন্ত করে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হবে। ২০১৮ সালের সম্মেলনের পর কমিটি ঘোষণা করতে বিলম্ব হওয়ায় অনেকে বিয়ে করে ফেলেছেন।