Thank you for trying Sticky AMP!!

এম হারুন-অর-রশীদ

চট্টগ্রামে ডেসটিনির হারুনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চট্টগ্রামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান এম হারুন–অর–রশীদসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন ডেসটিনির প্রধান নির্বাহী সামশুল আলম ভুঞা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও রফিকুল আমীন, পরিচালক গোফরানুল হক, পটিয়া শাখার প্রধান নির্বাহী সুবোধ চন্দ্র রায়, কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন ও তপন চন্দ্র দাশ।

প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে নগরের বাকলিয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ রেজা বাদী হয়ে গত ১৫ মে একই  আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিলেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ১১ নভেম্বর এম হারুন–অর–রশীদসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিবেদন দেয়।

বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আজ ধার্য দিনে পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে হারুন–অর–রশীদসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পিবিআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ভুক্তভোগীকে ডেসটিনি গ্রুপের ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে বলেন এবং এতে ব্যাপক লাভবান হওয়া যাবে বলে আশ্বাস দেন। এরপর ২০০৬ সালে বাদী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিশ্বাস করে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দেন। ২০২২ সালের ১৯ মার্চ মেয়াদ শেষে গাছ কিংবা ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। ওই টাকার জন্য তিনি যোগাযোগ করে তাঁদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে আদালতে মামলা করলে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্তে করে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করেছে বলে প্রমাণ পায়।