Thank you for trying Sticky AMP!!

অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট

সাজা ভোগ শেষেও কাউকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন হাইকোর্ট। এক হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকার মো. আলাউদ্দিন ওরফে কামাল ওরফে নূরে আলম নামের এক ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ শেষেও কারাগারে আছেন। এ বিষয়ে করা রিটের শুনানিতে আদালত এ মন্তব্য করেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা আছে কি না এবং কেন তাঁকে ছাড়া হচ্ছে না—এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ৬ জুন জানাতে বলেছেন। সেদিন পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রাখা হয়েছে।

আলাউদ্দিনকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি তা নিশ্চিতে কেন তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে না—এ বিষয়ে রুল দেওয়ার আরজিসহ তাঁকে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন গত ২৯ মে ওই রিট করেন।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, ১৯৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন আলাউদ্দিন। এই হত্যা মামলায় ২০০১ সালের ১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। তাঁদের মধ্যে ১০ আসামি হাইকোর্টে আপিল করে ২০০৭ সালে খালাস পান। তবে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ শেষ হওয়া সত্ত্বেও আলাউদ্দিন কারাগারে আছেন জানতে পেরে রিটটি করা হয়।

রিটের পক্ষে আইনজীবী বিভূতি তরফদার শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিয়া আক্তার শুনানিতে ছিলেন।

শুনানিতে আইনজীবী বিভূতি তরফদার বলেন, ১৯৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারি আলাউদ্দিনসহ তিনজনকে এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অর্থাভাবে আলাউদ্দিন আপিল করতে পারেননি। ওই মামলায় ১০ জন হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন। তাঁদের আপিলের প্রত্যায়িত অনুলিপি সংগ্রহ করা হয়েছে। বিচারিক আদালতে আলাউদ্দিনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ সাধারণত ২২ বছর ধরা হয়।

আদালত প্রশ্ন করেন, কয়টি মামলা রয়েছে? তখন বিভূতি তরফদার বলেন, একটি মামলা ছিল, সাজা হয়েছে। আদালত বলেন, দেখা যাচ্ছে, অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তারের পর হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কোন কারাগারে আছেন? তখন বিভূতি তরফদার বলেন, বরিশাল কারাগারে।

এ পর্যায়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিয়া আক্তারের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা আছে কি না? তাঁকে ছাড়া হচ্ছে না? খোঁজখবর নেন। এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার (৬ জুন) জানাবেন।’