Thank you for trying Sticky AMP!!

মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন চট্টগ্রাম ১৬ আসনের (বাঁশখালী) সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর অনুসারীরা। এ সময় তাঁদের হাতে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন। গত ৩০ নভেম্বর সকালে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে

চট্টগ্রামে ওসিকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুরের, থানায় জিডি

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আচরণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য হুমকি বলে পুলিশের বিশেষ শাখার দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Also Read: আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়ামাত্র সাংবাদিককে পেটালেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার রোববার দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবুর রহমানের সমর্থকেরা। এ ঘটনায় থানায় মোস্তাফিজের এক অনুসারী বাদী হয়ে ঘটনার দিনই ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এর দুই দিন পর গত শুক্রবার মজিবরের এক অনুসারী বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৫০ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন।

ওই সময় মজিবুরের অনুসারীর মামলা নেওয়ায় ওসির কাছে কৈফিয়ত চান মোস্তাফিজুর রহমান। গত শুক্রবার বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদের সরকারি নম্বরে ফোন করে গালিগালাজ করে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন তিনি। ওসিকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় শুক্রবার বাঁশখালী থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানে।’

ওসির সঙ্গে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের আচরণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য হুমকি উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে পুলিশের কেউ কিছু বলতে রাজি হননি।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেনকে সোমবার রাতে ফোন করা হলে তিনিও এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য সংসদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে সোমবার রাতে কল করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

Also Read: পিস্তল হাতে মিছিলে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজ