পিবিআইপ্রধানের মামলায় অব্যাহতি পেলেন বাবুল ও তাঁর বাবা
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও তাঁর বাবা মো. আবদুল ওয়াদুদ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেননি আদালত।
তবে একই মামলার আসামি বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত আমলে নিয়েছেন। ইলিয়াস পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।
আজ এ মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করেছেন আদালত। সেদিন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাবুলের আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, আদালত অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় বাবুল ও তাঁর বাবা ওয়াদুদ এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন বনজ কুমার। মামলায় বাবুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ধানমন্ডি থানার পুলিশ।
মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে ইলিয়াস ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। বাবুল, তাঁর বাবা ও ভাইয়ের যোগসাজশে ইলিয়াস এ কাজ করেছেন। এতে পিবিআইপ্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় পরদিন (৬ জুন) বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। বাবুলের করা মামলায় তিনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে এক নারীর সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে হত্যা করা হয়। বাবুল সোর্সের মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন।
মাহমুদা হত্যা মামলায় গত ১৩ মার্চ বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয় আসামি হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসীম উদ্দিনের আদালতে মাহমুদা হত্যা মামলার বিচার চলছে।
Also Read: বাবুলের আবেদন খারিজ, বিচারকাজ চলবে