Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চালু হচ্ছে নতুন ট্রেন

বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ছয় জোড়া আন্তঃনগর ও দুই জোড়া মেইল ট্রেন চলাচল করে

বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে এক জোড়া নতুন ট্রেন চালানো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। রেলের বিদ্যমান ইঞ্জিন ও কোচ দিয়েই এ দুটি বিরতিহীন ট্রেন পরিচালনা করা হবে। যদিও এ সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরি করা হলেও এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। 

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নতুন এক জোড়া ট্রেন চালানোর বিষয়ে গত মাসে রেলভবন থেকে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে একটি সময়সূচিও তৈরি করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা রেলভবনে পাঠানো হবে। 

নতুন ট্রেনের বিষয়ে একটি বিশেষ প্রস্তাবনা ও নতুন সময়সূচি প্রণয়ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগ থেকে পূর্বাঞ্চলের পরিবহণ বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, পরিবহণ বিভাগ সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের রেক (একাধিক কোচ, ইঞ্জিন মিলে একটি রেক) দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য একটি সময়সূচি প্রস্তাব করেছে।

বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ছয় জোড়া আন্তঃনগর ও দুই জোড়া মেইল ট্রেন চলাচল করে। আর সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৫ জুন এই রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছিল। 

রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, দুটি বিরতিহীন ট্রেনের রেক (একাধিক কোচ, ইঞ্জিন মিলে একটি রেক) দিয়ে তিন জোড়া ট্রেন চালানোর উদ্যোগ অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। তখন ইঞ্জিন স্বল্পতা ও জনবল সংকটের কথা বলে তা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। বর্তমানে নতুন ইঞ্জিন আমদানি ও লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় ওই প্রস্তাব আলোর মুখ দেখছে। 

এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আরও দুটি বিরতিহীন ট্রেন চালু হলে টিকিট সংকট দূর হবে। সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নতুন এক জোড়া ট্রেন চালানোর বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরি হলেও তা এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি।
মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল।

রেলওয়ে সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, নতুন ট্রেনের বিষয়ে একটি বিশেষ প্রস্তাবনা ও নতুন সময়সূচি প্রণয়ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগ থেকে পূর্বাঞ্চলের পরিবহণ বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, পরিবহণ বিভাগ সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের রেক (একাধিক কোচ, ইঞ্জিন মিলে একটি রেক) দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য একটি সময়সূচি প্রস্তাব করেছে। 

Also Read: ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে কেন নতুন ট্রেন চালু হয় না?

এই সূচি অনুযায়ী, ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে একটি ট্রেন এবং ঠিক একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে আরেকটি ট্রেন ছাড়বে। নতুন ট্রেনের কারণে তূর্ণা এক্সপ্রেসের সময়সূচির পরিবর্তন হবে। নতুন ট্রেন চালু হলে বর্তমানে রাত ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া তূর্ণা এক্সপ্রেস ছাড়বে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে। 

এ ছাড়া এখন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। তখন এই ট্রেন ছাড়বে বিকেল সাড়ে ৪টায়। আর ঢাকা থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস বিকেল ৫টার পরিবর্তে সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে । 

প্রস্তাবিত সময়সূচিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী সোনার বাংলা ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ রাখা হয়েছে মঙ্গলবার। এ ছাড়া নতুন ট্রেনের মঙ্গলবার ও সুবর্ণ এক্সপ্রেসের বন্ধ রাখা হয়েছে বুধবার। অপর দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী সুবর্ণ ও নতুন ট্রেনের সোমবার এবং সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নতুন এক জোড়া ট্রেন চালানোর বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরি হলেও তা এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি।

Also Read: ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ট্রেন যাবে দুই ঘণ্টায়: রেলপথমন্ত্রী