Thank you for trying Sticky AMP!!

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস

বিমানের দুই কর্মকর্তা লাপাত্তা, তথ্য পাচারের শঙ্কা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুই কর্মকর্তার খোঁজ পাচ্ছে না রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থাটি। তাদের ধারণা, এই কর্মকর্তাদের একজন কানাডায় পালিয়ে গেছেন। আরেকজন দেশের মধ্যে আত্মগোপনে আছেন। এসব তথ্য জানিয়ে বিমানের পক্ষ থেকে সোমবার ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিমানের ওই দুই কর্মকর্তা হলেন, সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন। আনোয়ার হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গত ৭ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি-৩০৫ ফ্লাইটে কানাডায় পালিয়ে যান। আর সোহান আহমেদ পলাতক রয়েছেন ২৪ অক্টোবর থেকে। তিনি দেশের মধ্যে আত্মগোপন করেছেন।

আনোয়ার হোসেনের বাড়ি চাঁদপুরের নুনিয়া গ্রামে। বাবার নাম আবুল মান্নান। সোহান আহমেদ রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম আনোয়ার হোসেন।

জিডির তথ্য অনুযায়ী, এই দুই কর্মকর্তার কাছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিভিন্ন চুক্তিপত্র, আরআই পলিসি ও সফটওয়্যারের তথ্য রয়েছে। এসব স্পর্শকাতর তথ্য তাঁরা পাচার করে দিতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিমানবন্দর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জিডির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জিডিতে মাছুদুল হাসান নামে একজনের স্বাক্ষর রয়েছে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাঁকে জিডি করতে বলেছে। সে কারণে তিনি এই জিডি করেছেন।