Thank you for trying Sticky AMP!!

সহপাঠীকে মারধর, মেডিকেল শিক্ষার্থী বহিষ্কার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্রাবাসে এক সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. জাবেদুল ইসলামকে এক বছরের জন্য মেডিকেল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁকে কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গতকাল বুধবার বিকেলে কলেজের চট্টেশ্বরী সড়কের প্রধান ছাত্রাবাসে এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইশতিয়াক রহমানকে মারধর করেন তাঁরই সহপাঠী জাবেদুল ইসলাম। জাবেদুল সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে পরিচয় দেওয়া ছাত্রলীগের পক্ষটির সঙ্গে যুক্ত। তবে চমেকে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই এখন।

এ ঘটনায় আজ দুপুরে অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তারের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘ছাত্রাবাস পরিদর্শন কমিটি গতকাল ছাত্রাবাসটি পরিদর্শন করতে যায়। এ সময় ইশতিয়াককে তাঁর ৫/বি কক্ষে গিয়ে শারীরিকভাবে আঘাত করেন জাবেদুল ইসলাম। তাই জাবেদুলকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হলো।’

অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না
একই সভায় বুধবার থেকে বিনা অনুমতিতে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীদের ১০ এপ্রিলের মধ্যে ক্লাসে অংশগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের পরবর্তী তৃতীয় পেশাদার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদান করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম, সভা–সমাবেশ, মিছিলের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এমনকি শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান বা র‍্যাগ ডে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।

চমেক অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার এসব সিদ্ধান্তের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

ইশতিয়াক গতকাল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, পবিত্র রমজানে তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে ক্লাস করবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ এরই মধ্যে সবাইকে ক্লাসে উপস্থিত থাকার নোটিশ দেন। এরপর ইশতিয়াকসহ কয়েকজন ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাবেদ তাঁকে মারধর করেন।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রাবাসটির একটি কক্ষে নিয়ে চার ছাত্রকে নির্যাতন করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৬ মার্চ সাত ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। তাঁরা নিজেদের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর পক্ষের হিসেবে পরিচয় দেন।