Thank you for trying Sticky AMP!!

হাইকোর্ট ভবন

নাহিদ সুলতানাসহ ৪ আইনজীবীর আগাম জামিন শুনতে হাইকোর্ট বিব্রত

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে হট্টগোল ও মারামারির ঘটনায় করা মামলায় নাহিদ সুলতানা যুথীসহ চার আইনজীবীর পৃথক আগাম জামিন আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বেঞ্চের একজন বিচারপতি আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেছেন উল্লেখ করে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।  

আবেদনকারীদের আইনজীবীর তথ্যমতে, নাহিদ সুলতানা, শাকিলা রওশন ও মৌসুমী চৌধুরী ফাতেমা আগাম জামিন চেয়ে একটি আবেদন করেন। অপর আবেদনটি করেন জাকির হোসেন মাসুদ।

আদালত সূত্র জানায়, হাইকোর্টের আদেশের পর এ-সংক্রান্ত নথি বিকেলে প্রধান বিচারপতির সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পৌঁছেছে।  

এর আগে ভোট গণনা নিয়ে মারধরের ওই ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে ৮ মার্চ বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ওই মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফ। মামলায় তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন তিনি। সেখানে আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে যুথীকে প্রধান আসামি এবং মো. রুহুল কুদ্দুসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। যুথী সমিতির নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামসের (পরশ) স্ত্রী। আর মো. রুহুল কুদ্দুস বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল) থেকে সম্পাদক পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মারধরের অভিযোগে করা ওই মামলায় ইতিমধ্যে মো. রুহুল কুদ্দুসসহ ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। রিমান্ড শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

নাহিদ সুলতানা যুথীসহ চার আইনজীবীর আগাম জামিন চেয়ে দুটি আবেদন (মোশন) আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয় বলে জানান তাঁদের আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই মামলায় যুথীসহ চারজনের আগাম জামিন চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন সকালে আদালতে দাখিল করা হয়। আদালত জানান বেঞ্চের একজন বিচারপতি আবেদন দুটি শুনতে বিব্রত বোধ করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে নথি পাঠানোর আদেশ দেন হাইকোর্ট। এখন প্রধান বিচারপতি যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সে বেঞ্চে আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে।’

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে আবেদন দুটি দাখিল করা হয়। আবেদন শুনবেন কি শুনবেন না, সে বিষয়ে দুপুরে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান আদালত। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জানান, বেঞ্চের অপর বিচারপতি আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।’