Thank you for trying Sticky AMP!!

আইডিয়ালে চলছে ইংরেজি ভাষার উৎসব

ন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কার্নিভ্যালে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা, ১১ এপ্রিল। ছবি: সাজিদ হোসেন

ইংরেজি একটি সর্বজনীন ভাষা। উচ্চশিক্ষা থেকে শুরু করে জীবনের সব ক্ষেত্রেই এই ভাষার দাপট। তাই এর শিক্ষা হতে হবে নির্ভুল ও গভীর। সেই বোধ থেকেই রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ আয়োজন করেছে ন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কার্নিভ্যাল। 

বৃহস্পতিবার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিল শাখায় শুরু হয়েছে এই উৎসব। স্কুলটির ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের আয়োজনে এটি এ উৎসবের তৃতীয় বছর। সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ, প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির সমন্বয়ক মুনির হাসান এবং আইডিয়ালের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম।

উৎসব সম্পর্কে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের মডারেটর মো. মোকছেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীরা লেখা, পড়া, শোনা ও বলা—এই চার ক্ষেত্রেই ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করুক। তাই এই উৎসব। উৎসবের অংশগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে দক্ষতা বাড়ে এবং তারা ভাষা শিখতে আগ্রহও পায়।’

তিন দিনের এই উৎসবে আছে তাৎক্ষণিক শব্দ তৈরি, গল্প বলা, সাহিত্য নিয়ে কুইজ, শব্দের খেলা, বানানের খেলা ইত্যাদি। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো।

কার্নিভ্যালের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা, ১১ এপ্রিল। ছবি: সাজিদ হোসেন

দেশের ২৬৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আইডিয়াল স্কুল প্রাঙ্গণে সত্যিই যেন বসেছে ইংরেজি ভাষার উৎসব। ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিহা তাহসিন ইসলাম। দেয়াল পত্রিকা, ইংলিশ অলিম্পিয়াড, তাৎক্ষণিক গল্প বলার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে সে। নাবিহা বলে, ‘এ রকম একটি আন্তস্কুল প্রতিযোগিতা আমাদের দেখায় আমরা আসলে দক্ষতার দিক থেকে সমবয়সীদের মধ্যে কোন অবস্থানে আছি। এখান থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায় সামনে প্রতিযোগিতাটা আসলে কত কঠিন। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় আমরা নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব করার সুযোগ পাচ্ছি। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করছি এই উৎসব।’

আদিত্য চৌধুরী এসেছে নটর ডেম কলেজ থেকে। আইডিয়াল স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র আদিত্যের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল ইংরেজি ভাষার এই উৎসব। আদিত্য বলে, ‘আমরা যখন শুরু করি তখন এতে যোগ দেওয়ার মানুষ জোগাড় করতেই প্রাণান্তকর কষ্ট করতে হয়েছে। এখন অংশগ্রহণ এত বেশি যে স্কুলে ঢুকতেই কষ্ট হয়েছে।’

আদিত্যের মতে এই উৎসবটা খেলাচ্ছলে মানসিক দক্ষতা বাড়ায়, যেটা ক্লাসরুমে পাঠ্যবই থেকে পাওয়া যায় না।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উৎসবে যোগ দিয়েছে তাসনিয়া জাহিদ জয়ীতা ও সানজিদা আয়েশা। তারা জানায়, এটি তাদের জন্য একটা নতুনই অভিজ্ঞতা। এ রকম আয়োজন সত্যিই শেখার আগ্রহ বাড়ায়।

ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের মডারেটর মো. মোকছেদুল ইসলাম বলে, ‘তিন বছর ধরে এই আয়োজনের পর আমরা দেখেছি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বাড়ছে। আগে যে কাজটা ১০ জন শিক্ষার্থী নির্ভুলভাবে করতে পারত, তা এখন তিনগুণ শিক্ষার্থী পারছে। তাদের জড়তা কমে গেছে এবং আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’