Thank you for trying Sticky AMP!!

আট দিনে আয় এক কোটি ১৩ লাখ টাকা

তিন যুগের বেশি সময় ধরে ঢাকায় রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়িসহ অযান্ত্রিক যানবাহনের নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অযান্ত্রিক এই যানবাহনগুলোকে শৃঙ্খলায় ফেরাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৩০টি ফরম বিক্রি করেছে। এতে সংস্থাটির রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

ডিএসসিসি বলছে, তাদের এলাকার অন্তর্ভুক্ত অযান্ত্রিক যানবাহন নিবন্ধনে আগ্রহীদের কাছ থেকে অফেরতযোগ্য ১০০ টাকায় ফরম বিক্রি করা হচ্ছে। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনসহ আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো থেকে ফরম নেওয়া যাবে। ফরম সংগ্রহের পর ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফরম জমা দিতে হবে। পরে যাচাই-বাছাই করে যোগ্য বিবেচিত হলে নির্ধারিত ফি জমাদান সাপেক্ষে নিবন্ধন দেওয়া হবে।

দক্ষিণ সিটি এলাকায় কী পরিমাণ যানবাহনের নিবন্ধন দেওয়া হবে—এ বিষয়ে সংস্থাটি সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে ১৩ সেপ্টেম্বর এই কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, এই ঢাকা শহরে দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় রিকশা ও অযান্ত্রিক যানবাহনের কোনো নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। তাঁরা সড়কগুলোতে যানবাহনের কার্যকারিতা নিরূপণের কার্যক্রম শুরু করেছেন। এর ফলে কোন সড়কে ধীরগতির যানবাহন চলবে, কোন সড়কে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল করবে, এগুলো নির্ণয় করা হবে। এই নিবন্ধন কার্যক্রমের মাধ্যমে ধীরগতির যানবাহনগুলো যেমন নিবন্ধনের আওতায় আসবে, তেমনি নিয়মের আওতায় আসবে।

তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওই দিন থেকেই ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানসহ যেসব অযান্ত্রিক যানবাহনে মোটর-ব্যাটারি-ইঞ্জিন সংযোজন করে সেগুলোকে যান্ত্রিক বানানো হয়েছে, তা চলাচলে নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন মেয়র তাপস। একই সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত রিকশা বা যানবাহন সড়কে পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। তবে মেয়রের এই ঘোষণা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, পাঁচটি অঞ্চলের মধ্যে গত ৮ দিনে সবচেয়ে বেশি ৩২ হাজার ৯৬০টি নিবন্ধন ফরম বিক্রি হয়েছে অঞ্চল-১ এলাকাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফরম বিক্রি হয়েছে অঞ্চল-৪ এলাকাতে, ৩০ হাজার ৩৬০টি। অবশ্য এই দুটি অঞ্চলে বেশির ভাগ ওয়ার্ড পুরান ঢাকার মধ্যে পড়েছে।