Thank you for trying Sticky AMP!!

আমাদের প্রিয়জনদের জন্য সময় থাকা উচিত: রুবানা হক

রাজধানীর বসুন্ধরায় জিপি হাউসে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন। অনুষ্ঠানে রুবানা হকসহ জিপির কর্মীরা। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, যেকোনো সম্পর্কের সাফল্য নির্ভর করে পারস্পরিক সম্মানবোধের ওপর। আমাদের ইচ্ছাপূরণের পথে কোনো বাধাই যেন বাধা না হয়ে ওঠে। আমাদের প্রিয়জনদের জন্য সময় থাকা উচিত।

আজ রোববার রাজধানীর বসুন্ধরায় জিপি হাউসে গ্রামীণফোনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে রুবানা হক এসব কথা বলেন। গ্রামীণফোনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে এবং এ বছরের নারী দিবসের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য #ইচফরইক্যুয়াল-এর সমর্থনে রোববার জিপি হাউস ও সারা বাংলাদেশে সব বিজনেস সার্কেলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস করে, লৈঙ্গিক সমতা একটি প্রতিষ্ঠান কর্মক্ষেত্রে ভালো ফল নিয়ে আসে।

অনুষ্ঠানের মূল বক্তা রুবানা হক বলেন, যেকোনো সম্পর্কের সাফল্য নির্ভর করে পারস্পরিক সম্মানবোধের ওপর। এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্যে সবার জন্য সমতার (ইচ ফর ইক্যুয়াল) বিষয়টিকে সামনে আনা হয়েছে। আমাদের ভালো থাকার জন্য যেখানে নারী ও পুরুষদের সমানভাবে দেখতে বলা হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাপূরণের পথে কোনো বাধাই যেন বাধা না হয়ে ওঠে। আমাদের প্রিয়জনদের জন্য সময় থাকা উচিত। আপনাদের ইচ্ছাপূরণে এগিয়ে যান এবং কোনো কিছু নিয়ে আফসোস করবেন না। নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত করার জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে এবং সবার জন্য সমতার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেওয়ার জন্য গ্রামীণফোনকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের ভেতরে সবার অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি নির্মাণের জন্য আরও অধিক ভারসাম্যপূর্ণ ও সমতাভিত্তিক কর্মপরিবেশ তৈরিতে আমরা কাজ করছি। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স, ডেটা অ্যানালিটিকস ও সেলস অপারেশনের মূল জায়গাগুলোসহ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য ভূমিকায় আমরা নারীদের নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করছি। পাশাপাশি, আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ‘ইন্সপিরিট’ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সহযোগিতামূলক অংশীদার হিসেবে কাজ করছি। কর্মক্ষেত্রে লৈঙ্গিক-পক্ষপাতদুষ্ট পদবির সংস্কৃতি দূর করে সমাজ প্রচলিত ধারণা পরিবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য।’

অনুষ্ঠান চলাকালীন সমতাভিত্তিক কর্মপরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বছরজুড়ে গ্রামীণফোনের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রদর্শন করা হয়। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হোসেন সহপ্রতিষ্ঠানটির অন্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।