Thank you for trying Sticky AMP!!

ইসির অপসারণ চায় টিআইবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারকে দ্রুত অপসারণ ও নির্বাচন কমিশনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর বিকল্প নেই বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবি বলেছে, নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যেভাবে একের পর এক কেলেঙ্কারির জন্ম দিচ্ছে, তা অভূতপূর্ব ও গোটা জাতির জন্য বিব্রতকর।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), কমিশন সচিবালয় এবং অন্য কমিশনারদের ন্যক্কারজনক কাদা ছোড়াছুড়ির যে খবর দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা অভূতপূর্ব ও গোটা জাতির জন্য বিব্রতকর। অন্তত একজন কমিশনার একজন নিরাপত্তারক্ষীর নিয়োগের জন্য কমিশন সচিবালয়কে সুপারিশ করেছিলেন বলে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়। সেই সুপারিশ রক্ষা করা হয়নি বলে কমিশনাররা তোলপাড় করেছেন। সাংবিধানিক পদে থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ যে সরাসরি নৈতিক স্খলন, সেটা অনুধাবন করার মতো অবস্থাতেও নির্বাচন কমিশনাররা নেই। অন্যদিকে, কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে কমিশনারদের অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বের সংবাদ এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে পদদলিত করেছে। সাংবিধানিক পদাধিকারীরা যখন নিজেদের সচিবালয়ের বিরুদ্ধেই অনিয়মের অভিযোগ করেন, তখন সেটার গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন ও এর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় পচন ধরেছে। আর এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের মতো সুবিবেচনা ও সক্ষমতা আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার বা কমিশন সচিবালয়ের কাছে আশা করার মতো সাহস পাচ্ছি না। কারণ একের পর এক কেলেঙ্কারির পর তাঁরা যেভাবে স্বপদ আঁকড়ে ধরে আছেন, তাতে এটা মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে সংশ্লিষ্ট সবাই নিজেদের জবাবদিহি ও ন্যূনতম আত্মসমালোচনার ঊর্ধ্বে বলে ধরে নিয়েছেন।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই নির্বাচন কমিশন দেশকে এক অভূতপূর্ব নির্বাচনের দায় চাপিয়ে দিয়েছে, যার পরতে পরতে অনিয়মের অভিযোগ সত্ত্বেও কোনো তদন্ত হয়নি। সিইসি, অন্য কমিশনাররা এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণের নামে জনগণের করের টাকা হরি করেছেন—এমন অভিযোগ উঠেছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গোটা জাতির মাথা হেঁট করে দিচ্ছে। তাদের অধীনে ভবিষ্যতে যেকোনো কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। গণতন্ত্রের স্বার্থেই এই অবমাননাকর অধ্যায়ের শেষ হওয়া দরকার। ব্যর্থতা এবং নৈতিক স্খলনের দায় নিয়ে সিইসি বা অন্য কমিশনাররা যে সরে যাবেন না, সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।