Thank you for trying Sticky AMP!!

ঈদে হামলায় জঙ্গিদের প্রস্তুতি আছে, পুলিশও সতর্ক: ডিএমপি কমিশনার

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

আসন্ন ঈদুল আজহায় তথাকথিত জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার প্রস্তুতি আছে। তাদের হামলা করার সক্ষমতা বেড়েছে। তাদের বোমাগুলোও এখন অত্যন্ত শক্তিশালী। তবে তথাকথিত এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলা প্রতিরোধে পুলিশ সতর্ক আছে।

এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংস্থাটির রাজধানীর মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন হয়।

ঈদ কেন্দ্র করে জঙ্গি তৎপরতা বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মনে করছি না কিছু হবে, তবে আমরা খুবই সতর্ক আছি। কারণ সম্প্রতি তাদের যেমন তৎপরতা বেড়েছে, তেমনি তাদের বোমা বানানোর সক্ষমতা বেশ উন্নত হয়েছে।’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কমিশনার হওয়ার আগে ঢাকার পাঁচটি পুলিশ চেকপোস্টে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। বোমাগুলো একেবারেই অল্প কাজ জানা লোকের তৈরি ছিল। ফলে পুলিশ সদস্যদের পায়ে অল্প আঘাত লেগেছিল, বড় ক্ষতি হয়নি। অর্থাৎ তাদের বোমাগুলো কম শক্তিশালী ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আমরা যে বোমাগুলো উদ্ধার করেছি, এগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বিস্ফোরণ হলে ম্যাসাকার হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ তাদের সক্ষমতা বেড়েছে এবং নতুন লোককে প্রশিক্ষিত করে বোমা বানানোর কাজে নিয়োগ করতে পেরেছে। এ জন্য মনে করছি যে তাদের প্রস্তুতি আছে।

জঙ্গি তৎপরতা বাড়ার কারণ কী জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখন মানুষের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম। বিনোদনের ক্ষেত্র কমে এসেছে। অনেকেই ইন্টারনেটে এক সাইট থেকে আরেক সাইটে চলে যাচ্ছে। এই তথ্যগুলো দেখতে দেখতেই একসময় তারা ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে।’

শফিকুল ইসলাম বলেন, তবে পুলিশের নজরদারি মোটেও কম নয়। তাই বড় ঘটনা যেহেতু ঘটে না। ভারতে যে তিনজন জঙ্গি ধরা পড়েছিল, তারা জিহাদের জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিল। এ তথ্য বাংলাদেশ পুলিশ জানত এবং যথাস্থানে জানিয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও জানানো হয়, চেষ্টা করেও পুলিশ করোনা থেকে সুরক্ষায় মানুষকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সচেতন করতে পারছে না। পাশাপাশি ঈদে মানুষ বাড়িতে গেলে তাদের বাসায় যেন চুরি না হয়, সে জন্য তালিকা করে সম্ভাব্য চোর বা গ্রিল কাটা পার্টির সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাসার প্রাথমিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের পালন করতে হবে। কারণ, লাখ লাখ বাসা পাহারা দেওয়া পুলিশের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।