Thank you for trying Sticky AMP!!

এডিস নিয়ন্ত্রণে অভিযান, জরিমানা আদায় ২২ লাখ টাকা

প্রথম আলো ফাইল ছবি

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০ দিনের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) আজ সোমবার শেষ হয়েছে। অভিযানে ১ হাজার ৬০১টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ২২ লাখ টাকা।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই সময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এটি এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য উপযোগী পরিবেশ। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের সচেতন করা এবং এডিস মশার বংশবিস্তারের স্থান নিয়ন্ত্রণ করা না হলে করোনা মহামারির মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আগেই ৫৪টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান শুরু করে উত্তর সিটি করপোরেশন। প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০ ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে ৫ জনের একটি দল স্থাপনা পরিদর্শন করছে। অর্থাৎ, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০ জন অভিযান চালান। মশকনিধনকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করেন।

৬ জুন শুরু হওয়া অভিযানে ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯ হাজার ৬২৬টি স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে। আর এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে ১ হাজার ৬০১টি স্থাপনায়। অর্থাৎ অভিযানে দেখা যায়, ডিএনসিসির প্রায় ৬৭ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে এবং প্রায় ১ দশমিক ২ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়।

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার অপরাধে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, এই ১০ দিনে মোট ২১ লাখ সাড়ে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তী সময়ে একই অপরাধে কেউ অভিযুক্ত হলে আরও কঠোর শাস্তি এমনকি জেল পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। আগামী মাসে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে।

অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে প্লাস্টিকের খালি পাত্র, বালতি, ড্রাম, অব্যবহৃত টায়ার ও কর্কশিট, ভাঙা টব, পরিত্যক্ত টিন পাওয়া যায়। দেখা যায়, নির্মাণাধীন ভবনের ভূগর্ভস্থ পানির সংরক্ষণাগার, ফেলে রাখা পাত্র, রঙের কৌটা, পাইপে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে।