Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনাকালের ঢাকা

করোনার কাল চলছে। দ্বিতীয়বারের মতো সরকার ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে অফিস-আদালতসহ সবকিছু। ঢাকামুখী মানুষ ফিরে গেছেন আবার। ব্যস্ত রাজধানী এখন কার্যত নিশ্চুপ। মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কাজ না থাকলে। তাই অচল হয়ে আছে সচল ঢাকা। প্রায় শূন্য ঢাকার প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে তার নিজের রূপ। করোনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রকৃতি সেজেছে নতুনভাবে। গাছগুলো সব পুরোনো পাতা ঝরিয়ে ফেলে হালকা সবুজ কচি পাতায় ভরে উঠেছে। সুনসান রাস্তায় বের হলেই শোনা যায় ঝিঁঝি পোকার ডাক। অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্য, ঢাকায় এখন ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে। করোনা-ক্লান্ত দুপুরগুলোকে বিষণ্ন করে তোলে ঘুঘুর ডাক। প্রায় দূষণমুক্ত ঢাকার আকাশ এখন আরও নীল।
প্রায় দূষণহীন ঢাকার আকাশ এখন অনেক নীল।
পুরোনো পাতা ঝরিয়ে নতুন কচি পাতায় গাছগুলো সেজেছে নতুন সাজে। অচিন বৃক্ষ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ।
সংসদ ভবনের সামনের বকুলগাছের সারি। স্বাভাবিক সময়ে এখানে বসে মানুষ বিশ্রাম করে, আড্ডা মারে। করোনাকালে ফাঁকা বকুল তলা।
কলেজ গেটের পুরোনো কড়ইগাছগুলো নতুন পাতায় ভরে উঠেছে।
ফাঁকা ফলের দোকান। শেখেরটেক ১২, মোহাম্মদপুর।
কাজ বন্ধ, ঘর থেকে বাইরে বের হওয়াও বন্ধ। তাই যাত্রী নেই। অলস বসে আছেন ঢাকার রাস্তার রাজা নামে খ্যাত সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। গজনভী রোড, জেনেভা ক্যাম্প, মোহাম্মদপুর।