Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা-আক্রান্ত প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুস্থ, বাসায় ফিরেছেন

করোনা–আক্রান্ত ৮ জন রোগী মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আজ বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের হাততালি দিয়ে বিদায় জানান হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম আলোর বিশেষ বার্তা সম্পাদক শওকত হোসেন (মাসুম) সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। 

আজ শনিবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছাড়পত্র দেয়। এরপর তিনি বাসায় ফেরেন।

সাংবাদিক শওকত হোসেনসহ করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া আরও সাতজনকে একই সঙ্গে মুগদা হাসপাতাল থেকে আজ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হলে গত ২০ এপ্রিল প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সংবাদকর্মী শওকত হোসেন হাসপাতালে ভর্তি হন।

সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন প্রথম আলোর বিশেষ বার্তা সম্পাদক শওকত হোসেন। ছবি: প্রথম আলো।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মুগদা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রুবিনা ইয়াসমীনের নেতৃত্বে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা হাততালির মাধ্যমে আটজনকে বিদায় জানান। এর মধ্যে প্রথম আলোর সাংবাদিকও ছিলেন।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুগদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও অধ্যক্ষ গোলাম নবী তুহিন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান। আক্রান্ত হলে ভয় না পেয়ে নিয়মিত চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলার কথা বলেন। এই চিকিৎসক বলেন, করোনায় আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। তবে শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের তাঁরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।

দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের বিদায় দিচ্ছেন মুগদা হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: প্রথম আলো

শওকত হোসেন এ সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর প্রথমে কিছুটা সমস্যা হলেও পরে সবার অনেক সহযোগিতা তিনি পেয়েছেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও স্থানীয় সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী নিয়মিত তাঁর খোঁজ নিয়েছেন। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রুবিনা ইয়াসমীন বলেন, আজ ছাড়া পাওয়া আটজনের মধ্যে এ হাসপাতালের একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া মোট ১৩ জন এই হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখন ভর্তি আছেন ৩০০ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৪ জন।