Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা আতঙ্কে কাউন্সিলরের গণবিজ্ঞপ্তি, জানেনা ডিএসসিসি

কামরাঙ্গীরচরের মাদবর বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কামরাঙ্গীরচরে দোকানপাট বন্ধ রাখতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুল ইসলাম। আজ রোববার সকালে মাদবর বাজারে তাঁর কার্যালয় থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে এ বিষয়ে ডিএসসিসি কিছুই জানেনা।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেস্তোরাঁ, হোটেল, চায়ের দোকান, বেকারি, কনফেকশনারি, ফুচকা-চটপটি ও ছোট-বড় সব ধরনের খাবারের দোকান বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। তবে হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধের দোকান, ব্যাংক-এটিএম বুথ, ফলের দোকান, মুদি দোকান, কাঁচা বাজার খোলা থাকবে। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আজ সকাল থেকে এই ওয়াডে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিংও করছেন সাইদুল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, সম্প্রতি ইতালি থেকে ১৩ জন প্রবাসী কামরাঙ্গীরচরে ফিরেছেন। এর অধিকাংশই ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কিন্তু তাঁদের অনেককেই নিজ বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকজনকে পাওয়া গেলেও ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ মানছেন না। বিষয়টি সিভিল সার্জন ও থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় নিজ উদ্যোগে এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন তিনি। কামরাঙ্গীরচরের মানুষ তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। এখন অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

তবে কামরাঙ্গীরচরের ৫৫ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই ধরনের কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন এই দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যথাক্রমে মোহাম্মদ হোসেন ও নূরে আলম। এ ছাড়া এই গণবিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কিছুই জানে না ডিএসসিসি। সংস্থাটির সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, কাউন্সিলর কী কারণে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন, তা তিনি জানেন না। এ–সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা দেয়নি ডিএসসিসি।

এই গণবিজ্ঞপ্তির নিচের অংশে ‘নির্দেশক্রমে’ রয়েছেন সাইদুল ইসলাম মাদবর ও কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম মশিউর রহমানের নাম। জানতে চাইলে মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কামরাঙ্গীরচরে ১৩ জন প্রবাসী রয়েছেন, এটি সত্য। তাঁদের অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। কিন্তু ওই গণবিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।