Thank you for trying Sticky AMP!!

কার্বনশূন্য পৃথিবী গড়ার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দাবি

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পৃথিবী গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে রাজধানীতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা বর্তমানে সারা বিশ্বের জন্য একটি অনস্বীকার্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ মানবজাতির অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। শিল্পবিপ্লবের সময় থেকে শিল্পকারখানা থেকে বায়ুমণ্ডলে তাপ ধারণকারী কার্বনজাত ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের উদ্‌গিরণ বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা। প্রাক্‌-শিল্পবিপ্লব পর্যায় থেকে ইতিমধ্যে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।

সংগঠনটির অ্যাডভোকেসি অ্যাডভাইজার আল ইমরান বলেন, মনুষ্যসৃষ্ট কর্মকাণ্ডের ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস বিশেষ করে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রাতিরিক্ত উদ্‌গিরণ হয়। এটি জলবায়ু পরিবর্তন তথা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় রাষ্ট্রগুলোর সর্বজনীন কর্মকাঠামো ১৯৯২ সালে গৃহীত হয়। এই কর্মকাঠামোতে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রাখার প্রত্যয়ে রাষ্ট্রগুলোকে কার্বন উদ্‌গিরণ হ্রাসের ব্যাপারে জোর তাগিদ দেওয়া হয়। কিন্তু জাতিসংঘের পরিবেশ-সংক্রান্ত একটি বৈশ্বিক চুক্তি গৃহীত হওয়ার প্রায় তিন দশক অতিবাহিত হলেও সদস্যরাষ্ট্রগুলো তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারে সবার জোরালো পদক্ষেপ দরকার।

বক্তারা দাবি জানান, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতকরণের জন্য ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পৃথিবী গড়ার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে ২০৩০ সাল, অগ্রসরমাণ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০৪০ সাল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ২০৫০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে। একই সঙ্গে বহুজাতিক ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই খাতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বক্তাদের মতে, পরিবেশ ক্ষতির জন্য যারা দায়ী, তাদেরই তা বন্ধ করতে হবে। শুধু মানববন্ধন, সভা-সেমিনার করে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ রক্ষার পদক্ষেপগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।