Thank you for trying Sticky AMP!!

কাল বুধবার বিস্তারিত কর্মসূচি, রামপুরা ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় এসএসসির ফলপ্রত্যাশী মাইনুদ্দিন ইসলামের নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও সড়কে বিক্ষোভ আজকের মতো শেষ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় আবার রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়ে রামপুরার রাস্তা ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষে ঘোষণা দেন খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া। তিনি বলেন, আগামীকাল তাঁদের বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে সকালের দিকে বিএএফ শাহীন কলেজ, ইম্পেরিয়াল কলেজ, একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রামপুরায় মানববন্ধন শুরু করেন। এ সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এর মধ্যে কয়েকটিতে লেখা ছিল, ‘আমার বাবা কাঁদছে নিরাপদ সড়কের দাবিতে’, ‘ছাত্রজনতা ঐক্য গড়ো, নিরাপদ সড়কের দাবি তোলো’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘অ্যাম আই নেক্সট’, ‘রাতের আঁধারে শিক্ষার্থী মরে, প্রশাসন ঘুম পাড়ে’। মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচার চাওয়া ছাড়া গণপরিবহনে হাফ পাস নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্য গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাসের দাবি মেনে নিয়ে আজ মঙ্গলবার পরিবহনমালিকেরা কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেন। তাঁরা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের হাফ পাস শুধু ঢাকা শহরের জন্য প্রযোজ্য হবে; ঢাকার বাইরে নয়।

রামপুরায় শিক্ষার্থীরা গাড়ির চালকদের লাইসেন্স ও কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করছেন। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের কাগজ যাচাই–বাছাইয়ের সময় রাস্তায় বিআরটিসির একটি বাস ফেলে পালিয়ে গেছেন চালক ও তাঁর সহকারী। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আন্দোলের কারণে কোনো রোগী ও পরীক্ষার্থীর যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য জরুরি লেন করে কিছু গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছি।’

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হন মাইনুদ্দিন। তিনি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাইনুদ্দিনের বাবা রামপুরায় একটি চায়ের দোকান চালান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাইনুদ্দিন সবার ছোট। তাঁদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ওই রাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন এবং এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।