Thank you for trying Sticky AMP!!

কৃষক ও কর্মহারা শ্রমিকদের জন্য রেশন চালুর দাবি উদীচীর

বর্ষা উৎসবে শিল্পীরা

বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও কর্মহারা শ্রমিকদের জন্য রেশন চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে গড়ে ওঠা নানা প্রকল্প বাতিল, অপরিকল্পিত উন্নয়ন বন্ধ এবং দখল হওয়া নদ-নদী উদ্ধারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বর্ষা উৎসবের অনুষ্ঠান থেকে এ দাবি জানানো হয়। উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উৎসবের আয়োজকেরা বলেন, শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বৃষ্টিবিলাসের উদ্দেশ্যে বর্ষা উৎসবের আয়োজন নয়। ঋতুভিত্তিক এ অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রাম-নগরের শ্রমজীবী মানুষের জীবন আরাধনাই উদীচীর লক্ষ্য। এ অনুষ্ঠান থেকে শ্রমজীবী মানুষের জীবন আরাধনার পাশাপাশি প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে গড়ে ওঠা নানা প্রকল্প বাতিল, অপরিকল্পিত উন্নয়ন বন্ধ এবং দখল হওয়া নদ-নদী উদ্ধারের দাবিও জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বর্ষা কথন পর্বে প্রধান কথক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বলেন, বর্ষার জলে প্রাণ-প্রকৃতি শুদ্ধ হয়। বর্ষা তার সহজাত শক্তি নিয়েই জীবন, আচার, সংস্কৃতি ও সাহিত্য অধিকার করে থাকে। বর্ষার প্রথম বৃষ্টি যেমন খরতাপে মুষড়ে পড়া প্রকৃতিকে জাগিয়ে তোলে, তেমনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের শক্তিও ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে তুলে সাম্য ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

ঢাকা মহানগর উদীচীর সহসভাপতি হাবিবুল আলমের সভাপতিত্বে কথন পর্বে আলোচনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। বর্ষাকথন উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমনণ্ডলীর সদস্য রহমান মুফিজ। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর।

এর আগে সকাল সাতটায় মেঘমল্লার রাগের ওপর জ্যোতি ব্যানার্জির সেতার বাদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষা উৎসবের আয়োজন। এরপর সমবেত গান পরিবেশন করেন উদীচীর ঢাকা মহানগর সংসদ, মিরপুর, বাড্ডা, লালবাগ, রায়েরবাজার ও সাভার শাখার সদস্যরা। নৃত্য পরিবেশন করেন উদীচী কাফরুল শাখা ও নৃত্যশিল্পী মুক্তা ঠাকুর।

আবৃত্তি করেন, অনন্যা লাবনী, বেলায়েত হোসেন ও মিজানুর রহমান। গান গেয়েছেন বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, মেহেদী ফরিদ ও রেজাউল করিম। পথনাটক ‘বরাক বাঁশ’ পরিবেশন করে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের নাটক বিভাগ। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নাজমুল হক। সাংস্কৃতিক আয়োজন পরিচালনা করেন শিখা সেনগুপ্তা ও মিনহাজুল আবেদীন মৃদুল।