Thank you for trying Sticky AMP!!

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার শাহবাগে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি

গুজব ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার করে নানা রকম গুজব ও সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ৬৭টি সংগঠনের জোট সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। জোটের নেতারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করা হয়। কর্মসূচির প্রতিপাদ্য ছিল,‘সহিংসতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চাই’। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, গণসাক্ষরতা অভিযান, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, সেভ দ্য চিলড্রেনসহ ৬৭টি সংগঠন।

কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু একটি বিশেষ গোষ্ঠী দেশি-বিদেশি শক্তির উসকানিতে তা নষ্ট করতে তৎপর। এদের প্রতিরোধে মাঠে নামতে হবে। সাম্প্রদায়িক অন্যায়-অত্যাচারকে প্রতিরোধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও সমতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক-বৈষম্যহীন-সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ। ৫০ বছর পরও একই বক্তব্য দিতে হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সংখ্যালঘুদের সবকিছু হারাতে হচ্ছে। সরকারকে তাঁদের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।

ধর্মের অপব্যাখ্যা ও অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ বিনষ্টকারীদের কঠোর হাতে দমন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলসহ মোট ১০ দফা দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। সভায় আরও বক্তব্য দেন সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মালেকা বেগম, ওয়াইডব্লিউসির সাধারণ সম্পাদক হেলেনা মনীষা সরকার, জাতীয় নারী জোটের পক্ষে আফরোজ হক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের শাহিদা পারভীন প্রমুখ।