Thank you for trying Sticky AMP!!

চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান

রাজধানী ঢাকার শাহবাগ মোড়ে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নামের একটি সংগঠন।

চাকরির ক্ষেত্রে সব পদে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালসহ সাত দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ মোড়ে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নামের একটি সংগঠন।


সাত দফা দাবিতে আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে সংগঠনের দেড় থেকে দুই শ নেতা-কর্মী জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ের রাস্তা আটকে সেখানে বসে পড়েন। পরে বেলা সোয়া একটার দিকে তাঁরা সেখান থেকে সরে যান।

তাঁদের এই অবস্থানের কারণে শাহবাগ থেকে পল্টন, কাঁটাবন, বাংলামোটর ও টিএসসি অভিমুখী মূল সড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। তবে পাশের সরু রাস্তা দিয়ে কিছু কিছু গাড়ি চলে।


কর্মসূচির নেতৃত্বে আছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া ও মহাসচিব শফিকুল ইসলাম। দুই নেতা সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে শাহবাগ মোড়ের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন। চারদিকে ব্যানারসহ অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন কনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা। সোলায়মান মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।’

অনুমতি ছাড়াই রাস্তা অবরোধ করায় শুরু থেকেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলছিল৷ এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের কয়েক দফায় বাগ্‌বিতণ্ডাও হয়৷

পরে সোয়া একটার দিকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে অবরোধ সমাপ্ত ঘোষণা করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া৷ তিনি বলেন, 'জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আজকের কর্মসূচি স্থগিত করছি৷ ২৩ ফেব্রুয়ারি আমরা আবার শাহবাগে আসব৷ সেদিন শাহবাগে কোনো গাড়ি চলবে না৷' সোলায়মানের এই ঘোষণার পর সংসদের নেতা-কর্মীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়৷

সন্তান সংসদের দাবিগুলো হলো চাকরির ক্ষেত্রে সব পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষায় আইন পাস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ বা মৃত মুক্তিযোদ্ধা ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার করা, ১৯৭২ সালের সংজ্ঞা অনুযায়ী স্বচ্ছ তালিকা প্রণয়ন, সিনেমা, সিরিয়াল, নাটকের চরিত্রের মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধ করাসহ মন্দ লোকদের মুজিব কোট পরার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর, টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ খান, বীরসন্তান মেজর সিনহা ও এএসপি আনিসুর করিমের পরিকল্পিত হত্যার বিচারসহ সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা-নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমানবন্দরসহ সব ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া।