Thank you for trying Sticky AMP!!

জাহাজভাঙা শিল্পে ১১ মাসে নিহত ১৯ শ্রমিক

প্রথম আলো ফাইল ছবি

চলতি বছরের ১১ মাসে জাহাজ ভাঙার কাজে (শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড) ১৯ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে ৬ লাখ টাকা করে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয় শ্রমিকদের এই ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করে।

জাহাজভাঙা শিল্পে দুর্ঘটনার বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, শিপ ব্রেকিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ খাত। শ্রমিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ করেন। সরকার শিপ ব্রেকিংসহ সব খাতের মালিক-শ্রমিকদের সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শকেরা নিয়মিত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে পরিদর্শন করছেন এবং শ্রমিকদের সচেতন করছেন।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, প্রতিটি দুর্ঘটনার পর নিহত শ্রমিকের পক্ষে শ্রম আদালতে মামলা করে শ্রম আইন ২০১৮ (সংশোধিত) অনুযায়ী ২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আঞ্চলিক ক্রাইসিস কমিটির সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনায় আরও চার লাখ টাকা মালিকদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মো. আল-আমিনের নেতৃত্বে শ্রম পরিদর্শকেরা নিয়মিত শিপইয়ার্ড পর্যবেক্ষণ করেন।

শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ড, লোহার প্লেট ও পর্দা পড়ে, পিছলে এবং বিষাক্ত গ্যাসে ১৯ শ্রমিক মারা যান। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুজন, মে–তে তিনজন, জুলাইয়ে পাঁচজন, আগস্টে দুজন, সেপ্টেম্বরে তিনজন, অক্টোবরে তিনজন এবং নভেম্বর মাসে একজন শ্রমিক এসব দুর্ঘটনায় মারা যান।

২০১৮ সালে ১৭ জন শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা যান। এসব দুর্ঘটনায় মালিকদের কাছ থেকে আদায় করে শ্রমিকদের পরিবারকে ৫ লাখ করে ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে এ খাতে দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ শ্রমিকের পরিবারকে ৮০ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।