Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাবিতে পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি করায় সাদা দলের ক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল বলেছে, বিজ্ঞপ্তি এবং ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি একটি চরম অনিয়ম এবং অমার্জনীয় অপরাধ। তাই এই প্রক্রিয়ায় জড়িত সবাইকে নৈতিক স্খলনের দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়ে ডাকসু নেতা’ শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের এই অংশটি উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে।

সাদা দলের শিক্ষকেরা বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের গর্বের স্থানটি পদদলিত। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যিনি বা যাঁরাই জড়িত থাকুক না কেন, আমরা তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা আশা করব এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁরা সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন।’

প্রায় ২৮ বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর চলতি বছরের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল ছাত্র সংসদের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হন। নির্বাচন করতে আগ্রহী ছাত্রদের মধ্য থেকে পরে ৮ জন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সম্পাদক ও সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেন, বিজয়ী হন ৭ জন। দুটি হল সংসদের ভিপি পদে অংশ নেন আরও দুজন, যাঁদের একজন নির্বাচিত হন, অন্যজন পরাজিত হন। ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যও ছিলেন আরেকজন।

পরীক্ষা ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়া ঘটনায় অভিযুক্ত ডাকসু নেতারা হলেন মো. রাকিবুল হাসান (শিক্ষাবর্ষ ২০০৯-১০), তিনি কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ছাত্রলীগের বিগত কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাকিবুল কর্মসংস্থান সম্পাদক ছিলেন। ইতিহাস বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র নজরুল ইসলাম, তিনি সদস্য পদে নির্বাচিত। নজরুল ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি। একই অভিযোগে অভিযুক্ত ডাকসুর সদস্য মুহা. মাহমুদুল হাসান, নিপু ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফ ইবনে আলী (শিক্ষাবর্ষ ২০১০-১১) এবং স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী (শিক্ষাবর্ষ ২০১১-১২), ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর (শিক্ষাবর্ষ ২০০৯-১০), আবদুল আলিম খান তিনি এফ রহমান হলের ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন।

আলীম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য প্রদীপ চৌধুরীও ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে পরীক্ষা ছাড়াই ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হন।