Thank you for trying Sticky AMP!!

নিকুঞ্জে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার

লাশের প্রতীকী ছবি

রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় শুক্রবার এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় হত্যা মামলা করেছে তাঁর পরিবার। পুলিশ তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত গৃহবধূ শায়লা পারভীন (২৭) ইডেন কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে চাকরির চেষ্টায় ছিলেন। তাঁর স্বামী তরিকুল ইসলাম উত্তরার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সহকারী হিসাবরক্ষকের কাজ করেন। শায়লা–তরিকুল দম্পতি, তাঁদের আড়াই বছরের ছেলে এবং শায়লার ভগ্নিপতি নিকুঞ্জ–২–এ একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তাঁদের বাড়ি ফরিদপুর শহরে। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে শায়লা সবার ছোট ছিলেন।


শায়লার বড় বোনের স্বামী আলম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার কাজ শেষে তিনি বাসায় ফেরেন। রাতের খাবার শেষে আড়াইটার দিকে ঘুমাতে যান। এ সময়ের মধ্যে শায়লা বা তাঁর স্বামীর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু খেয়াল করেননি। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে শায়লার স্বামীর ডাকাডাকিতে তাঁর ঘুম ভাঙে। গিয়ে দেখেন শায়লার শরীর কক্ষের মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তাঁর নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। ঘাড়ের ওপরও রক্ত। আর ফ্যানের সঙ্গে একটি ওড়না ঝুলছে। সেই ওড়নার ওপরের দিকেও রক্ত লাগানো ছিল।


আলম মিয়া বলেন, তরিকুল দাবি করেছেন রাতে শায়লার সঙ্গে ঝগড়া হলে তিনি কক্ষ থেকে বেরিয়ে অন্য কক্ষের সোফায় ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে ডাকাডাকি করলে শায়লা যখন দরজা খুলছিলেন না, তখন তিনি দারোয়ানকে ডেকে আনেন। তারপরও দরজা না খোলায় একজন মিস্ত্রি ডেকে এনে তিনি দরজা খুলে শায়লার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তবে তরিকুলের এই দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, শায়লার লাশের অবস্থান এবং রক্তের দাগ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, তাঁকে হত্যা করে তরিকুল নব লক করে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক সজীব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শায়লার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা কি না, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।