Thank you for trying Sticky AMP!!

পথচারী পারাপার হবে কীভাবে

পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা নেই ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার–সংলগ্ন চৌরাস্তায়। প্রথম আলো

চারদিক থেকে দ্রুতগতিতে যানবাহন ছুটে আসছে। পথচারীদের কেউ হাত তুলে রাস্তা পার হচ্ছেন। কেউবা আবার রাস্তা পার হচ্ছেন গাড়ির সামনে দিয়ে দৌড়ে।

সম্প্রতি ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসংলগ্ন চৌরাস্তায় দেখা যায় এই চিত্র। পথচারী পারাপারের জন্য এই চৌরাস্তায় নেই পদচারী–সেতু, পাতালপথ কিংবা জেব্রা ক্রসিং। এতে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।

স্থানীয় লোকজন বলেন, এই মোড় দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে। একই সঙ্গে চলে ছোট যানবাহন। তবে কোনো গতিরোধক বা জেব্রা ক্রসিং না থাকায় যানবাহনগুলো দ্রুতগতিতে চৌরাস্তা পার হয়।

স্টাফ কোয়ার্টারসংলগ্ন চট্টগ্রাম স্টোরের দোকানি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। মাস তিনেক আগে একদিন সকালে এক ব্যক্তি চৌরাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখন দূরপাল্লার একটি দ্রুতগামী বাস তাঁকে চাপা দেয়। এতে ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

আরেক দোকানি বলেন, পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য দীর্ঘক্ষণ সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কোনো গাড়িই যেন তাঁদের পারাপারের সুযোগ দিতে চায় না। হাতের ইশারা দিয়ে পার হতে গিয়েও অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন।

সম্প্রতি চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, বড় যানবাহনগুলো দ্রুতগতিতে চৌরাস্তা পার হচ্ছে। যানজট ছাড়া কোনো গাড়ির গতি কমছিল না। পথচারীরা হাতের ইশারা দিয়ে পার হচ্ছেন। অনেক সময় ইশারা করলেও গাড়ি থামছিল না। পরে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় পথচারীরা রাস্তা পার হচ্ছেন।

সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল মোহাম্মদ কাসেম বলেন, এখানে পথচারী পারাপারের কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ সড়কটিতে দিন দিন গাড়ির চাপ বাড়ছে।

চৌরাস্তাটি রামপুরা ট্রাফিক জোনের মধ্যে পড়েছে। জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক বিপ্লব কুমার বলেন, চৌরাস্তায় তাঁদের দুজন সার্জেন্ট ও চারজন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করেন। এখানে পদচারী–সেতু করে দেওয়া হলে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।