Thank you for trying Sticky AMP!!

পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টারগুলো খোলা রাখার দাবি

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কোচিং সেন্টারগুলোর সংগঠন এসিইবি সংবাদ সম্মেলন করে। এতে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: প্রথম আলো

কোচিং সেন্টারগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (অ্যাসেব) বলেছে, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, বিতরণ থেকে শুরু করে এ সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলো কোনোভাবেই যুক্ত নয়। উল্টো পাবলিক পরীক্ষার সময় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অ্যাসেব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকেরা। পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবিতে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন অ্যাসেবের আহ্বায়ক ও ই হক কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়। কিন্তু সেই পাবলিক পরীক্ষাতেই প্রশ্নফাঁস সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এর থেকে প্রতীয়মান হয় যে ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলোর সঙ্গে প্রশ্নফাঁস হওয়া বা না হওয়া সম্পর্কযুক্ত নয়। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ১৯০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের কেউই কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত নন। তাহলে কেন কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে?

অ্যাসেব গঠিত হয় ২০১৮ সালে। এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। সংগঠনটির মুখপাত্র ও উদ্ভাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান সোহাগ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। বহুবার চিঠিও দিয়েছি। প্রত্যেক চিঠিতে একটাই দাবি, দেশের সব কোচিং সেন্টার একটি নীতিমালার অধীনে আনা হোক। সরকার নীতিমালা করলেই সেন্টারগুলো একটি প্ল্যাটফর্মে আসতে বাধ্য হতো।’ কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করে—এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের মতো শিক্ষাও একটি সেবা। আর সেবার মূল্য আছে। এর মূল্যমানও বিভিন্ন রকমের হবে। আমরা দোষী হব তখনই যখন দেখব, যে টাকা নিচ্ছি তার বিনিময়ে করা অঙ্গীকার পালন করছি না।’