Thank you for trying Sticky AMP!!

পিএস-এপিএসে অনুসন্ধান শেষ নয়: দুদক চেয়ারম্যান

ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি

মন্ত্রী-সাংসদ কিংবা সরকারি কর্মকর্তাদের একান্ত সচিব (পিএস), সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান শেষ হয়ে যাবে না। তাঁদের ঊর্ধ্বতনরা যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে তাঁদেরও এর দায় নিতে হবে। এ জন্য আরও অপেক্ষা করতে বললেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

আজ সোমবার সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দুদক।

সম্প্রতি কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির পিএস-এপিএসকে দুদক তলব করলেও তাঁদের ঊর্ধ্বতনদের বিষয়ে দুদক নীরব—এমন এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘পিএস-এপিএস ছাড়াও যাঁরা যুক্ত ছিলেন, যুক্ত হয়েছেন বা যুক্ত আছেন, আমরা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনব।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাউকে ডাকতে দুদকের কলম কাঁপেনি।’

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আরিফুর রহমান শেখ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুস এবং সরকারদলীয় হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) এজাজ চৌধুরীকে তলব করেছে দুদক।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা নীরব না, আমাদের যে চোখ নেই, তা না। দুর্নীতি যেখানেই ঘটেছে, সেখানেই তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওয়েট অ্যান্ড সি। দুর্নীতিটা কীভাবে ঘটেছে, সেটা যদি পিএস, এপিএসেরা বলতে পারেন, আমরা খুঁজে বের করব। সুতরাং চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই যে আমরা পিএস, এপিএস দিয়ে শেষ করব।’

মার্চে শুরু হচ্ছে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা
শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন যুক্তিনির্ভর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে করতে দেশের ২৬ হাজার ২১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শুরু হচ্ছে দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায় শেষে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে নকআউট পদ্ধতির এই প্রতিযোগিতা। মার্চজুড়েই চলবে এ প্রতিযোগিতা।

ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুদকের এই উদ্যোগে সহযোগিতায় আছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের বাংলাদেশ শাখা ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতসহ দুদকের মহাপরিচালক ও পরিচালকেরা। বক্তব্য দেন অক্সফাম বাংলাদেশের এদেশীয় প্রধান দীপঙ্কর দত্ত, চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, দুদকের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল।