Thank you for trying Sticky AMP!!

পি কে হালদারের সহযোগী ও তাঁর মেয়ের আদালতে স্বীকারোক্তি

প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তাঁর মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পৃথক দুজন ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে আসামি সুকুমার মৃধা ও তাঁর মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে দুদক।

এ মামলায় গত ২১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত আসামি সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

এই মামলায় পি কে হালদারের মামাতো ভাই আসামি শঙ্খ ব্যাপারী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া দুদক পি কে হালদারের সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁকেও তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন সম্প্রতি আদালতকে লিখিত এক প্রতিবেদন দিয়ে জানান, আসামি পি কে হালদার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেন।

তদন্তকালে জানা যায়, আসামি পি কে হালদার বিদেশে পালিয়ে আছেন। আসামি শঙ্খ ব্যাপারীও বিদেশে পালানোর চেষ্টা করেন। এর আগে গত বছরের ৮ জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা পাচারেরও অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সাল পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইআইডিএফসিতে উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক ছিলেন পি কে হালদার। ১০ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিয়েই ২০০৯ সালে তিনি রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি হয়ে যান। এরপর ২০১৫ সালের জুলাইয়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুই ভাই মিলে ভারতে হাল ট্রিপ টেকনোলজি নামে কোম্পানি খোলেন ২০১৮ সালে। যার অন্যতম পরিচালক প্রিতীশ কুমার হালদার। কলকাতার মহাজাতি সদনে তাঁদের কার্যালয়।

আর কানাডায় পিঅ্যান্ডএল হাল হোল্ডিং ইনক নামে কোম্পানি খোলা হয় ২০১৪ সালে, যার পরিচালক পি কে হালদার, প্রিতীশ কুমার হালদার ও তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা সাহা। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কানাডার টরন্টোর ডিনক্রেস্ট সড়কের ১৬ নম্বর বাসাটি তাঁদের।