Thank you for trying Sticky AMP!!

পুরুষ প্রধান শিক্ষক নিয়ে বিভক্ত অভিভাবকেরা

  • ‘আমরা পরিমলের ঘটনা ভুলিনি। তখন শাখা প্রধান ছিল পুরুষ।’
  • ‘এটি মেয়েদের স্কুল, এখানে শাখা প্রধান মহিলা শিক্ষক হওয়া ভালো।’

অভিভাবকদের একটি অংশের বিরোধিতা এবং আরেকটি অংশের ফুল দিয়ে বরণের মধ্য দিয়েই ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার (দিবা শাখা) প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র পাল দায়িত্ব নিয়েছেন।
গতকাল রোববার সকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসংলগ্ন ৩০০ ফুট সড়কে ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বেইলি রোড এবং বসুন্ধরা দিবা শাখায় নারী প্রধান শিক্ষকের দাবিতে ব্যানার নিয়ে অভিভাবকদের একটি অংশ মানববন্ধন করে। আর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অভিভাবকদের আরেকটি অংশ ফুল দিয়ে দিবা শাখার প্রধান শিক্ষককে বরণ করে নেয়।
পুরুষ শাখা প্রধান না চাওয়ার কারণ হিসেবে অভিভাবকেরা বলেন, এটি মেয়েদের স্কুল, এখানে শাখা প্রধান মহিলা শিক্ষক হওয়া ভালো। আমরা পরিমলের ঘটনা ভুলিনি। তখন শাখা প্রধান ছিল পুরুষ।
অভিভাবকদের এই অংশের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘কোচিংবাজ শাখা প্রধান, পুরুষ শিক্ষক চাই না, শতভাগ নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী শাখা প্রধান চাই, ভারমুক্ত যোগ্য ও স্থায়ী অধ্যক্ষ চাই, অবৈধ ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করো, বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চাই, শিক্ষক নিয়োগে সরকারি নীতিমালা মেনে চলো, অস্থায়ীদের স্থায়ী করা বন্ধ করো, সরকারি নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগ চাই।’
অভিভাবকদের আরেকটি অংশের ফুল দিয়ে বরণ করা শাখা প্রধান জগদীশ চন্দ্র পাল বলেন, ‘অভিভাবকদের অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পরিচালনা বোর্ডই আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন।’
বিরোধিতাকারী অভিভাবকদের একজন সেলিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা চাই নারী প্রধান শিক্ষক। তাতে আমাদের মেয়েরা তাদের সমস্যার কথা প্রধান শিক্ষককে সহজে বলতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ শাখাতেই একজন ছাত্রী নির্যাতিত হয়েছিল। সে ভয়ে সমস্যার কথা বলতে পারেনি। কারণ সে সময়ও একজন পুরুষ প্রধান শিক্ষক ছিলেন।’
সেলিম আহমেদ জানান, নারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের পক্ষ থেকে গত ১৬ জানুয়ারি পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বরাবর একটি চিঠিও দেওয়া হয়। দুজন নারী শিক্ষকও শাখা প্রধান হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।
শাখা প্রধানের পক্ষে থাকা অভিভাবক আফরোজা খন্দকার ও নারগিস জামান বলেন, এ শিক্ষককে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দিয়েছে। আমাদের উচিত তা মেনে নেওয়া।