Thank you for trying Sticky AMP!!

পে–লোডার চালিয়ে বর্জ্য অপসারণ মেয়র আতিকের, রাত ১২টার মধ্যে সব সাফের প্রতিশ্রুতি

রাজধানীর ভাটারা সাঈদ নগরের অস্থায়ী পশুর হাটে বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

রাজধানীর ভাটারা সাঈদ নগরের অস্থায়ী পশুর হাটে বর্জ্যের স্তূপ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এখানে। আজ ঈদুল আজহার দিনে হাট শেষে জমা হয়েছে রাশি রাশি বর্জ্য। এগুলো ট্রাকে তোলা হবে আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে। বর্জ্যগুলো এসব ডাম্প ট্রাকে তোলা হবে পে-লোডার (বর্জ্য অপসারণের ভারী যান) চালিয়ে। ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজেই ধরলেন পে-লোডারের স্টিয়ারিং। শুরু হলো বর্জ্য অপসারণ। সিটি মেয়র প্রতিশ্রুতি দিলেন, আজ রাত ১২টার মধ্যেই সাফ হবে সব বর্জ্য।
সিটি মেয়র বললেন, কোরবানির ঈদে অনেকে তিন দিন ধরে কোরবানি দেন। তবে আজই ৯০ ভাগ লোক কোরবানি দেবেন। এই বর্জ্য আজ রাত ১২টা মধ্যেই পরিষ্কার করে ফেলা হবে।

মেয়র বলেন, ‘বর্জ্য রাখার জন্য কোরবানিদাতাদের ৬ লাখ ৭০ হাজার পলিব্যাগ দেওয়া হয়েছে। এখন কেউ যদি ওই পলিব্যাগে মাংস রাখে আর বর্জ্য যদি রাস্তায় কিংবা নালায় ফেলে দেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমি সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে এখন এলাকায় এলাকায় যাব। কোথাও, কারও বাসার সামনে বর্জ্য পড়ে থাকলে তা পরিষ্কার করব না। উল্টো সেই বাসার সামনে ট্রাকে করে বর্জ্য ফেলে দিয়ে আসব। একটি বাড়ি বা বাড়ির মালিকের জন্য নগর ময়লা হতে পারে না। জনগণের দুর্ভোগও সহ্য করা হবে না।’
যে ওয়ার্ড আগে বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ করবে, সেই ওয়ার্ডকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হবে ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘করোনার মহামারির মধ্যেও বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য পুরো ফোর্স নিয়ে মাঠে নেমেছি। ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা মাঠে আছেন। বর্জ্য পরিষ্কারে কাউন্সিলরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে।’

কোরবানিদাতাদের নালায় বর্জ্য না ফেলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কোরবানির বর্জ্য নালায় ফেলে নালা বন্ধ করবেন না। কারণ, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কাল থেকে বৃষ্টি হতে পারে। নালা বন্ধ হলে বৃষ্টির পানি নামতে পারবে না। তখন নগর অপরিষ্কার হয়ে যাবে।

রাজধানীর ভাটারা সাঈদ নগরের অস্থায়ী পশুর হাটে বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

ডেঙ্গুর প্রকোপ ও এডিস মশার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, বৃষ্টি আর রোদ এডিস মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত সময়। তাই যারাই কোরবানি দিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের কাছে অনুরোধ, ফুলের টব, গ্যারেজের পুরোনো টায়ার, বাথরুমের কমোড, দইয়ের পাত্র প্রভৃতিতে পানি জমে আছে কি না, এগুলো দেখবেন। কোথাও যাতে পানি জমে না থাকে, এডিস মশা যাতে ডিম পাড়তে না পারে।

মেয়র আরও বলেন, কোথাও কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকলে তা গণমাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে তা যেন করপোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এ ছাড়া নগরবাসীও সিটি করপোরেশনের কন্ট্রোল রুমে কিংবা সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে জানাতে পারবেন। করপোরেশনের কর্মীরা দ্রুত সেই বর্জ্য পরিষ্কার করবেন।

বর্জ্য পরিষ্কারে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১ হাজার ৫০০ কর্মী, ৫০০ যানবাহন সরাসরি মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানান মেয়র। বর্জ্য অপসারণ কর্মসূচির শুরুতে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমানসহ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া পরিবেশদূষণ রোধে ১১টি ওয়াটার বাউজার দিয়ে তরল জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি স্প্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানায় ডিএনসিসি। এ ছাড়া সাড়ে ৬ লাখ বর্জ্য থলে, ৫০ টন ব্লিচিং পাউডার, ১ হাজার ৫ ক্যান স্যাভলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।