বদরুন্নেসার শিক্ষক রুমা সরকার রিমান্ডে
ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুমা সরকারকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির।
রাজধানী পল্লবীর ‘সাহিনুদ্দীন’ হত্যাকাণ্ডের নৃশংস ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোয়াখালীর ‘যতন সাহা’ হত্যাকাণ্ড বলে অপপ্রচারের অভিযোগে রুমা সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল বুধবার র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।
আজ দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে রমনা থানা-পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে দুই দিন মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ মে বিকেলে পল্লবীর সিরামিকস ফটকের কাছে দুর্বৃত্তরা শিশুপুত্রের সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। গত মঙ্গলবার দুপুরে সেই ভিডিও ক্লিপ নোয়াখালীর যতন সাহার বলে ফেসবুকে আপলোড করে গুজব ছড়ানো হয়। ভারতের দুটি আইডি থেকে সাহিনুদ্দিন হত্যার ভিডিও ক্লিপটি নোয়াখালীর যতন সাহার বলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ প্রথম আলোকে জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব জানতে পেরেছে, সাহিনুদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ক্লিপটি ভারতের কলকাতা থেকে দেবদৃতা ভৌমিক নামের একজন প্রথম ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন। আর দেবদাস মণ্ডল কলকাতা থেকেই ওই ভিডিও টুইটারে আপলোড করে গুজব ছড়ান। ওই গুজব ছড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশভিত্তিক কুশীলবদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রুমা সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
-
ইরানের প্রেসিডেন্টের খোঁজে চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান
-
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট–পররাষ্ট্রমন্ত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না
-
মিরপুরে দিনভর বিক্ষোভ, পুলিশ বক্সে আগুন
-
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিখোঁজ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দোল্লাহিয়ানকে নিয়ে আলোচনা
-
বিধ্বস্ত হওয়ার আগে ইরানের হেলিকপ্টারটির কিছু ছবি