Thank you for trying Sticky AMP!!

বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতা

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত মানুষের সংখ্যাও। চীনের এ ভাইরাস যাতে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। এর ভেতর দিয়ে আসার পর সংকেত দিলে ওই যাত্রীকে পরীক্ষা করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর ওই যাত্রীকে বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টাইন রুমে রেখে পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা দেওয়া হবে। বিমানবন্দরের কর্মকর্তা ও যাত্রীরাও সতর্কতার জন্য মাস্ক ব্যবহার করছেন।
বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। একটি ভিআইপিদের বের হওয়ার পথে, আর দুটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য উড়োজাহাজ থেকে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পথে।
থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফরমেশন কার্ডের মাধ্যমে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। সাধারণত কারও শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকলেও থার্মাল স্ক্যানার সংকেত দেয়।
শরীরের তাপমাত্রা বেশি নিয়ে কোনো যাত্রী আসছেন কি না, তা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে এই যন্ত্রের সাহায্যে।
এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ-কর্মকর্তারাও সতর্ক থাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করছেন।
চীন থেকে ফেরত বাংলাদেশি যাত্রীদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে চীনের কোন শহরে কত দিন ছিলেন। আর চীন থেকে আসা যাত্রীরা কোনো শহর থেকে এসেছেন, তা জানতে চাওয়া হয়।
থার্মাল স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে আসার পর সংকেত দিলে ওই যাত্রীকে পরীক্ষা করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর ওই যাত্রীকে বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টাইন রুমে রেখে পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উড়োজাহাজের ভেতরে শুধু যাত্রীদের ও নামার পর কেবিন ক্রুসহ সব আরোহীকে আরেকটি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। আর থার্মাল স্ক্যানারে কোনো যাত্রীর শরীরে জ্বরের উপসর্গ পাওয়া গেলে তাঁকে আরেকটি কার্ড দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তাসহ বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে রাখা হয়েছে হেলথ ডেস্ক।
যাত্রীরাও সতর্ক থাকার জন্য ব্যবহার করছেন মাস্ক।