Thank you for trying Sticky AMP!!

বিড়ালের প্রতি এমন মায়া!

এক স্বেচ্ছাসেবীর হাতে উদ্ধার হওয়া বিড়াল। গতকাল ধানমন্ডিতে। তানভীর আহাম্মেদ

বিড়ালটি কারও পোষ্য ছিল না। কেবল দুবেলা উচ্ছিষ্টে কেউ কেউ স্মরণ করত তাকে। সেই পথের বিড়ালটি গত বুধবার আটকা পড়েছিল ভবনের চারতলার কার্নিশে। তবে মানুষের মায়াবঞ্চিত হয়নি প্রাণীটি। আটকা পড়ার পর কাজী তাসমিয়া রহমান নামের এক শিক্ষার্থী ও রবিনহুড, দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার নামের একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের তৎপরতায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তি মেলে তার।

ছয়তলা ভবনটির অবস্থান ধানমন্ডির ১৯ নম্বর সড়কে। বাড়ির চারতলার বাসিন্দা কাজী তাসমিয়া রহমান এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি জানান, বিড়ালটি তাঁদের পোষা না। মাঝেমধ্যে ফ্ল্যাটে এলে তাঁরা বিড়ালটিকে এটা-ওটা খেতে দিতেন। খাওয়া-দাওয়ার পর বিড়ালটি আবার চলে যেত। বুধবার বিকেলে তাঁরা খেয়াল করেন, ফ্ল্যাটের ড্রয়িংরুম-সংলগ্ন কার্নিশে বিড়ালটি আটকা পড়েছে। কিন্তু সে সময় নানাভাবে চেষ্টা করেও তাঁরা বিড়ালটিকে উদ্ধার করতে পারেননি। সারা রাত বিড়ালটি কার্নিশেই আটকা পড়ে থাকে।

তাসমিয়া রহমান বলেন, ‘আমার এক চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আমি রবিনহুড, দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার নামের সংগঠনটির সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা দুপুরে এসে এক ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে বিড়ালটিকে উদ্ধার করেন।’

এ বিষয়ে কথা হয় রবিনহুড, দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ারের উদ্যোক্তা আফজাল খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বিড়ালটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এ জন্য আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের ছয়তলার ছাদ থেকে কার্নিশ ও পাইপ বেয়ে নিচের দিকে নামতে হয়েছে। উদ্ধারকাজে সংগঠনের মোট চারজন অংশ নেন।’

আফজাল খানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে আহত, বিপন্ন কুকুর-বিড়ালসহ অবহেলিত প্রাণীদের সেবা দিয়ে আসছেন তাঁরা। কোনো প্রাণী আটকা পড়লে কিংবা বিপদাপন্ন হলে তা উদ্ধারের জন্য অনেকে রবিনহুড, দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার নামের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করেন।’ তিনি জানান, তাঁদের সামগ্রিক কার্যক্রমকে সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য তাঁরা এটাকে অ্যানিমেল কেয়ার ট্রাস্ট বাংলাদেশ নামে নিবন্ধন করেছেন। আর এর মাধ্যমে তাঁরা এই পর্যন্ত পাঁচ শর বেশি আহত, অসুস্থ ও অবহেলিত কুকুর-বিড়ালকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়েছেন।