Thank you for trying Sticky AMP!!

বুয়েটের শিক্ষার্থীরা অবস্থান জানাবেন বৃহস্পতিবার

আবরার হত্যার আসামিদের স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রথম আলো ফাইল ছবি

আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের পরবর্তী অবস্থান জানাবেন। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ এই মামলার অভিযোগপত্রের অনুলিপি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর ভিত্তিতে তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

আজ বুধবার এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বুয়েট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে একপর্যায়ে বুয়েট প্রশাসন দাবি পূরণের ঘোষণা দেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ জন ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং নোটিশ দিয়ে বলা হয়, তদন্তের ভিত্তিতে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার তদন্তে যদি নতুন কারও নাম উঠে আসে, তাহলে তাঁকেও আজীবন বহিষ্কার করা হবে। এ ছাড়া বুয়েটে সাংগঠনিকভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা, হলে হলে রাজনৈতিক কক্ষগুলো সিলগালা করাসহ আরও কিছু দাবি পূরণ করা হয়।

এ রকম পরিস্থিতিতে গত ১৫ অক্টোবর শিক্ষার্থীরা মাঠের আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু তখনই ঘোষণা দেন, আবরার হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রে যাদের নাম আসবে তাদের সবাইকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করবেন তাঁরা। ফলে বুয়েটে এখনো অচলাবস্থা চলছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হলো

জানতে চাইলে বুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম অন্তরা মাধুরী আজ প্রথম আলোকে বলেন, পরবর্তী অবস্থান ঠিক করতে তাঁরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার নিজেদের মধ্যে সভা করবেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে তা জানানো হবে।

অন্যদিকে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক মিজানুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এই মামলার অভিযোগপত্রের অনুলিপি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। পাওয়া মাত্রই সেটি এই ঘটনায় গঠিত বুয়েটের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির কাছে দেবেন। এর ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি তাদের বাকি কাজ শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন দিলে সঙ্গে সঙ্গে তা বুয়েটের শৃঙ্খলা কমিটিতে তোলা হবে। সেখানেই অভিযুক্ত ছাত্রদের চূড়ান্ত বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কাজগুলো দ্রুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।