বেলা একটার মধ্যে উত্তর সিটি বর্জ্যমুক্ত হয়েছে: ডিএনসিসির মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, আজ বেলা একটার মধ্যে উত্তর সিটিকে কোরবানির পশুর বর্জ্যমুক্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে উত্তর সিটি করপোরেশন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, মেরাদিয়া ও আফতাবনগরসহ আরও কিছু এলাকায় এখনো পশুর বর্জ্য রাস্তার ওপর পড়ে আছে। এ ব্যাপারে মেয়র বলেন, আপনারা যে তথ্য দিয়েছেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনাদের কাছে আরও তথ্য থাকলে সেটাও জানাবেন।
মেয়র বলেন, সবার সহযোগিতা চাই। সবার প্রতি অনুরোধ, ভবিষ্যতে সবাই নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এবার উত্তর সিটিতে আড়াই লাখের বেশি কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। এসব পশু জবাইয়ের জন্য ২৭৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের পরিমাণ বেড়েছে। করপোরেশন থেকে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কারণে অনেকে এ বিষয়ে উৎসাহিত হয়েছেন।
ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পশু জবাইয়ের স্থান ও মানুষের বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে কন্টেইনারে জমা করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেছেন বলে মেয়র জানান। তিনি বলেন, ঈদের দিন বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ৩, ৭, ১১, ১৭ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরা নিজেদের ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেন। এসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের পুরস্কৃত করা হবে। আজ বেলা ১১টা থেকে একটার মধ্যে অন্যান্য অঞ্চল বর্জ্যমুক্ত করা হয়েছে।
মেয়র জানান, এবার ২ হাজার ৪৪৯টি ট্রিপে মোট ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এসব বর্জ্য অপসরণে মোট ৯ হাজার ৫০০ জন কর্মী কাজ করেছেন। তিনি বলেন, পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বর্জ্য ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলনের ব্যবহার বেড়েছে। ডিএনসিসিরও সক্ষমতা বেড়েছে। তবে অনেকেই নিজেদের বাড়ির সামনে পশু জবাই করেছেন, যা অপ্রত্যাশিত।
ঢাকার নাগরিকদের বাড়ির সামনের সড়কে পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী বছর থেকে যত্রতত্র পশু জবাই করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্জ্য রাখার জন্য পচনশীল ব্যাগের ব্যবহার চালু করা হবে। হালাল ও আধুনিক পদ্ধতিতে পশু জবাই করার স্থান বাড়ানো হবে। এ বিষয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান আধুনিক পদ্ধতিতে পশু জবাই করে থাকে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পশুর বর্জ্য সনাতন পদ্ধতিতে ডাম্পিংয়ের বদলে এটিকে সম্পদে রূপান্তরের ব্যবস্থা করা হবে। এটিকে কীভাবে বিদ্যুতে রূপান্তর করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
আরও পড়ুন
-
নাইজারে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান থাকা ঘাঁটিতে রুশ সেনাদের প্রবেশ
-
প্রথম টি–টোয়েন্টি: তানজিদের অভিষেক, টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
-
সফর বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সাড়ে তিন মাসেই বিদেশ গেলেন প্রতিমন্ত্রীসহ ২৩ জন
-
উপজেলা চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে বদির গুলি, থানায় অভিযোগ
-
আমেথি থেকে সরে শেষ মুহূর্তে কেন রায়বেরেলি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল