Thank you for trying Sticky AMP!!

বড় প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপানের দুই প্রতিষ্ঠান

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতানা আফরোজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি

কমলাপুর রেলস্টেশনের বর্তমান ভবনটি ভেঙে মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাবের নির্মাণকাজে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জাপানের কাজিমা করপোরেশন। বিমানবন্দর টার্মিনালের উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানেরই আরেক প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি করপোরেশন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতানা আফরোজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের সময় নাওকি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাতের সময় আসন্ন চতুর্থ বাংলাদেশ-জাপান যৌথ পিপিপি প্ল্যাটফর্ম বৈঠক সম্পর্কে আলোচনা হয়, যা অনলাইনে জুমের মাধ্যমে ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তারা জাপানের সঙ্গে পাঁচটি পিপিপি প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলেন। প্রকল্পগুলো হলো কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনের মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব (এমএমটিএইচ) নির্মাণ, ঢাকা শহরের আউটার রিং রোড (দক্ষিণ অংশ) নির্মাণ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে উন্নতিকরণ এবং র‌্যাপিড ট্রানজিট এমআরটি লাইন-২–এর নকশা ও নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ। এই পাঁচ প্রকল্পের জন্য মোট বিনিয়োগের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার।

কাজিমা করপোরেশন এবং মিতসুবিশি করপোরেশনের বিনিয়োগে আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রদূত নাওকি। তিনি পিপিপি প্রকল্পের প্রশংসা করেন। পিপিপি কর্তৃপক্ষ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান। এ সময় জাপান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব তাকাশি শিরাই তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও এবং বাংলাদেশ সরকারের সচিব সুলতানা আফরোজ বলেন, জাপানের সঙ্গে জিটুজি অংশীদারত্বের মাধ্যমে পিপিপি প্রকল্পগুলো বাংলাদেশ সরকারের বিশাল আর্থিক বিনিয়োগকে সহজ করবে। তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে জাপানকে ধন্যবাদ দেন।