Thank you for trying Sticky AMP!!

ভোজ্যতেলের দাম আরও বেড়েছে

  • ৫ লিটারের এক বোতল তেলের দাম ৫৮০- ৬২৫ টাকা

  • পেঁয়াজ, সবজি, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে

ঢাকার বাজারে আরও বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। বিক্রেতারা দাবি করেছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

দেশের বাজারে কয়েক মাস ধরেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়তি। ব্যবসায়ীরা জানান, বিপণনকারী কোম্পানিগুলো আরেক দফা বাড়িয়ে বাজারে নতুন দামে তেল ছাড়তে শুরু করেছে। রূপচাঁদা, ফ্রেশ, তীরসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮০ থেকে ৬২৫ টাকা। আর এক লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।

ঢাকার কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর ও মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ঘুরে বৃহস্পতিবার দেখা যায়, কিছু কিছু দোকানে পুরোনো মূল্যের তেল বিক্রি হচ্ছে। সেগুলোর পাঁচ লিটারের বোতলের মোড়কে লেখা মূল্য ৫৫৫ থেকে ৫৭০ টাকা। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে বাজারে এখন সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতলের দাম ১১০ থেকে ১২০ টাকা, যা এক মাস আগের তুলনায় ১০ টাকা বেশি।

মতিঝিলে টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজারের বিক্রেতা জুয়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিপণনকারী প্রতিটি কোম্পানিই দাম বাড়িয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণ আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধি। বিশ্বব্যাংকের পণ্যবাজার পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে প্রতি মেট্রিক টন সয়াবিন তেলের গড় দাম ছিল ৭০৭ মার্কিন ডলার। নভেম্বর তা দাঁড়িয়েছে ৯৭৪ ডলারে।

পুরান ঢাকার মৌলভিবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ছেই।

টিসিবি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি ৫ লিটার ৪০০ টাকায় বিক্রি করছে। বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় টিসিবির তেল দ্রুতই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মতিঝিলে টিসিবির ট্রাকের বিক্রেতা মো. সোহাগ বলেন, বিক্রি শুরু করার পর সয়াবিন তেল দ্রুতই শেষ হয়ে যায়।

এদিকে বাজারে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ৮৫-৯০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। বিক্রেতারা এসব পণ্যের দাম কমেছে বলে জানান। অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন কোনো হেরফের নেই।