Thank you for trying Sticky AMP!!

মশা মারতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

ময়লার মধ্যে জমে থাকা পানিতে প্রচুর মশা

রাজধানীতে কিছুদিন ধরে মশার উপদ্রব বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু প্রতিরোধবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সভায়ও মশা বাড়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম মশার উপদ্রব বাড়ার বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এখন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব না থাকলেও অন্যান্য প্রজাতির মশা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য অষ্টম আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনলাইনে আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সবার সমন্বিত ও কঠোর উদ্যোগের ফলে এবার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব না থাকলেও অন্যান্য প্রজাতির মশা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীবাসীসহ দেশের মানুষকে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কিউল্যাক্স, অ্যানিফিলিসসহ অন্যান্য প্রজাতির মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেন তিনি।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, একই কীটনাশক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে মশা সেটাতে সহনশীল হয়ে যায়। মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ কেনার পাশাপাশি তদারকি বাড়াতে হবে। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মশা আছে। এসব দেশ যেভাবে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করে মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এনেছে, বাংলাদেশেও সেভাবে কাজ হচ্ছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজের স্বার্থে ওপর মহলের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে নিজেদের উদ্যোগে কাজ করতে হবে। রাজধানীর খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে নগরবাসী যেমন সুফল পাবে, অন্যদিকে এডিস মশাসহ অন্যান্য প্রজাতির মশার প্রজননস্থল বিনষ্ট হওয়ায় মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

জধানীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এবং খালের দায়িত্ব ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনকে দেওয়ার পর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু এবং মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দুই মেয়রের প্রশংসা করেন তিনি।

স্থানীয় বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনলাইন সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সব সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা অংশ নেন।