Thank you for trying Sticky AMP!!

মার্কিন দূতাবাসের কাছে কে ফেলে গেল ব্যাগটি, জানা যায়নি

মার্কিন দূতাবাসের উল্টো দিকে অ্যানেক্স ভবনের প্রবেশপথে বুধবার ফেলে যাওয়া কালো ব্যাগে থাকা বালুভর্তি কৌটা। রাজধানীর বারিধারায় বুধবার

ঢাকার বারিধারায় মার্কিন দূতাবাসের অ্যানেক্স ভবনের প্রবেশমুখের কাছে কালো ব্যাগ ফেলে যাওয়ার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাউকেই শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ মার্কিন দূতাবাসসহ আশপাশের এলাকার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) ফুটেজ জব্দ করে বিশ্লেষণ করছে। আতঙ্ক ছড়াতেই ব্যাগটি কেউ ফেলে গেছে বলে মনে করছে পুলিশ।

মার্কিন দূতাবাসের উল্টো দিকে অ্যানেক্স ভবনের প্রবেশপথে বুধবার বিকেলে একটি কালো ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দল ব্যাগটি তল্লাশি চালিয়ে লাল রঙের স্কচটেপ মোড়ানো বালুভর্তি একটি প্লাস্টিকের কৌটা উদ্ধার করে। ব্যাগের ভেতরে একটি ছুরি ও ছোট একটি বৈদ্যুতিক তার পাওয়া যায়। তবে ব্যাগে বা প্লাস্টিকের কৌটায় কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। গতকাল সন্ধ্যায় ভাটারা থানা-পুলিশ এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, কৌটা উদ্ধারের পর মার্কিন দূতাবাস ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শরীরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জিডির তদন্ত করছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগ (সিটি)।

সিটির উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের গুলশান বিভাগকে তদন্তে সহায়তা দেবে সিটি। আজ সিটির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাসহ পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

কোটা উদ্ধার করা দলের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের অতিরিক্ত উপকমিশনার এ কে এম রহমতউল্লাহ চৌধুরী আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, মার্কিন দূতাবাস ও আশপাশের এলাকার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তিনি মনে করেন, আতঙ্ক ছড়াতেই ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

Also Read: মার্কিন দূতাবাসের কাছে পাওয়া বোমাসদৃশ বস্তুটি ছিল কৌটা