Thank you for trying Sticky AMP!!

মুশতাকের মৃত্যুর তদন্ত চায় ওল্ড ফৌজিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন

লেখক মুশতাক আহমেদ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত দাবি করেছে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ওল্ড ফৌজিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন’।

আজ বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই দাবি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের সদস্য মুশতাক আহমেদের ‘প্রশ্নবিদ্ধ অপরিণত মৃত্যুতে’ ওল্ড ফৌজিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং মুশতাকের পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করা হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াদ হোসেনের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে মুশতাক আহমেদের ‘দীর্ঘ ৯ মাস বিচারপূর্ব আটক থাকা এবং যে পরিস্থিতিতে কারাগারে তাঁর মৃত্যু হয়’ তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশনার কারণে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে তাঁর আটক হওয়ার বিষয়েও আমরা আমাদের সংশয় প্রকাশ করছি। সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা থাকা সত্ত্বেও মুশতাক আহমেদের এমন দীর্ঘকাল আটক থাকা এবং বারংবার তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়া ঘটনার প্রকৃত কার্যকরণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এমতাবস্থায়, আমরা, প্রতিশ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তের দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যে ঘটনাপ্রবাহরে ধারাবাহিকতায় মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয় তার সুস্পষ্ট কার্যকারণ নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস সরকার এবং বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও ন্যায্য তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন যে আইন ও বিচার ব্যবস্থার ব্যর্থতা মুশতাকের মৃত্যুর কারণ নয়।’

গত বছরের ৫ মে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তাঁরাসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‍্যাব।

সেই মামলায় মিনহাজ ও দিদারুল জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়। কারাবন্দী অবস্থায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মুশতাক আহমেদ মারা যান। এরপর ৪ মার্চ জামিনে মুক্তি পান কার্টুনিস্ট আহমেদ কিশোর।

মুশতাকের মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি উঠেছে আবারও। মতপ্রকাশের অধিকার হরণ এবং বাক্‌ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য এ আইন বড় হুমকি উল্লেখ করে তা বাতিল বা সংশোধনের দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কারাবন্দী মুশতাকের ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যু হয়েছে।