Thank you for trying Sticky AMP!!

মূল আকর্ষণ রাজা বাবু, ওজন‌ ৩৭ মণ, দাম ১৫ লাখ টাকা

রাজা বাবু, ওজন‌ ৩৭ মণ, দাম ১৫ লাখ টাকা

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের উত্তর শাহজাহানপুর পশুর হাটে এবার সবচেয়ে বড় গরু এসেছে জামালপুর থেকে। নাম রাজা বাবু।‌ ওজন প্রায় ৩৭ মণ। বিক্রেতা দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার তাঁবুরচর গ্রাম থেকে গরুটি নিয়ে এসেছেন লাল মিয়া। তাঁর সঙ্গে এই গরু বিক্রির জন্য আরও এসেছেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে লাল মিয়ার ভগ্নিপতি সানোয়ার হোসেনও আছেন।

আজ বুধবার দুপুরে সানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত গরুটির দাম উঠেছে ৮ লাখ টাকা। আরেকজন ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম বলেছেন। গরুটি প্রায় ৪ বছর লালন–পালন করছেন বলে জানান তিনি।

সরেজমিন দেখা যায়, সাদা–কালো রঙের রাজা বাবুকে দেখতে লোকজন ভিড় করছেন। কেউ কেউ মুঠোফোনে গরুর ছবি তুলেছেন।‌ মিনিট পাঁচেক পরপর কেউ না কেউ এসে গরুর দাম জানতে চাইছেন।

সানোয়ার হোসেন বলেছেন, শখ করে লাল মিয়া গরুটি লালন–পালন করছেন। লাভের আশায় নয়। প্রতিদিন রাজা বাবুর পেছনে তাঁদের খরচ আনুমানিক ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। গত বছরও তাঁরা রাজধানীর আফতাবনগর হাটে ২৩ মণ ওজনের একটি গরু এনেছিলেন। গতবার শেষ মুহূর্তে দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি করতে পারেননি।

এদিকে এই হাট ঘুরে আরও দেখা যায়, ইতিমধ্যে ছোট–বড় অনেক গরু হাটে তোলা হয়েছে। সকালে বৃষ্টি হওয়ায় পশু নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন ব্যাপারীরা।

রাজা বাবুকে দেখতে মানুষের ভিড়

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা থেকে মাঝারি আকৃতির ১৬টি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন চারজন। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট সাড়ে তিন মণ ওজনের গরুর দাম চাইছেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

দাম তুলনামূলক বেশির বিষয়ে বিক্রেতা নূর আলম ও হামিদুর রহমান বলেন, ছোট গরুর দাম বেশি। মাঝারি আকারের গরুর দাম কিছুটা কম। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি হয়নি জানিয়ে তাঁরা বলেন, গরুর রাখার জায়গা না থাকায় অনেকেই ঈদের আগের দিন গরু কেনেন।‌ তাই এখন পর্যন্ত ক্রেতারা বাজারে আসেননি।

উত্তর শাহজাহানপুরের এ হাট মূলত শাহাজানপুর রেলওয়ে কলোনির ভেতরে বসে। কলোনির ভেতরে গরুর হাট বসানোর কারণে এখানকার বাসিন্দাদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

আর ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কামরুজ্জামান বাবু প্রথম আলোকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আজ পশু বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ২ জুলাই থেকেই তাঁরা হাট বসানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত এই হাঁটে ৪০টি গরু বিক্রি হয়েছে।

হাটে গরুর দামদর দেখতে এসেছেন খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা খালিদ সাইফুল্লাহ।‌ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গরুর দাম বেশি।‌ দাম আরেকটু কমতে পারে বলে ধারণা এই বাসিন্দার। তখন কোরবানির পশু কেনবেন বলে জানান তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা এবার ১০টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসছে। সংস্থার প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির পশুর হাটে মানুষ যাতে দুর্ভোগে না পড়েন, এ জন্য তাঁরা তৎপর রয়েছেন। সড়ক বা মহাসড়কে পশু রেখে যান চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।