Thank you for trying Sticky AMP!!

যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ৪টি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে এবার যুক্তরাজ্য তার দেশের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের চারটি বিশেষ ফ্লাইটে লন্ডনে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন আজ শনিবার ফেসবুক পেজে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। মূলত বাংলাদেশে আটকে পড়া যুক্তরাজ্যের পর্যটকদের ফিরিয়ে নিতে হাইকমিশন ওই পদক্ষেপ নিয়েছে।

রবার্ট ডিকসন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ভাড়া করা উড়োজাহাজে দেশে ফেরানোর কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত। প্রথম ফ্লাইটটি যাবে এপ্রিলের ২১ তারিখ। আর বাকি তিনটি যাবে এপ্রিলের ২৩, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল। এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যের যে সব পর্যটক সিলেটে রয়েছেন, তারা যাতে লন্ডনগামী ফ্লাইট ধরতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার জানান, বিশেষ ফ্লাইটের ভাড়া যতটা সম্ভব কমানো যায়, তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের যে সব নাগরিক ঢাকা কিংবা সিলেট যেখান থেকেই যাত্রা করুক না কেন, তাদের মাথাপিছু ভাড়া হবে ৬০০ পাউন্ড।

যুক্তরাজ্য হাইকমিশন তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, সিলেটে অবস্থানরত যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে করে ঢাকায় আনা হবে। এরপর তারা ঢাকা থেকে লন্ডন যাত্রা করবেন।

হাইকমিশন জানায়, এই ফ্লাইট সুবিধা শুধু যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা নিতে পারবেন। নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরেই টিকিট দেওয়া হবে। প্রতিটি ফ্লাইটের বুকিং ফ্লাইটটি ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে বন্ধ হয়ে যাবে এবং বিমানবন্দরে টিকিট বিক্রয় হবে না।

মার্কিন নাগরিকদের চতুর্থ ফ্লাইট মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বে
এদিকে মার্কিন নাগরিকদের জন্য ভাড়া করা চতুর্থ ফ্লাইটটি আগামী মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে আজ শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ৫ ও ১৩ এপ্রিল এবং ৩০ মার্চ মার্কিন নাগরিকদের তিনটি ভাড়া করা উড়োজাহাজ ঢাকা ছেড়ে যায়। ২১ এপ্রিল কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষ ফ্লাইটটি মার্কিন নাগরিকদের ঢাকা থেকে দোহা হয়ে ওয়াশিংটন নিয়ে যাবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি সদস্য দেশসহ ইউরোপের ১৫টি দেশ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া ও ভুটানের নাগরিকদের একটি অংশ বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে ফিরে গেছেন।