Thank you for trying Sticky AMP!!

যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক জোনায়েত বাতেনকে (৪৬) স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌতুকের কারণে নির্যাতনসহ দুটি মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শাহবাগ থানা–পুলিশ জোনায়েত বাতেনকে রাজধানীর কাঁটাবন এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তমেজ উদ্দিন আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম স্ত্রীর দুটি মামলায় (১৩৩/২০ এবং ১৫৯/২০) গত বছরের ডিসেম্বরে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে থানা থেকে তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসআই জানান, মামলায় জোনায়েত বাতেনকে বিএসএমএমইউর চিকিৎসক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক জোনায়েত বাতেনের স্ত্রী বিভিন্ন ছবি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আমি সেসব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। উনি গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না, সে তথ্য জানা নেই আমার।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন, পরিচালক, বিএসএমএমইউ

মামলার বাদী নিজেকে প্রথম স্ত্রী উল্লেখ করে প্রথম আলোকে বলেন, ২০০০ সালে জোনায়েত বাতেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। দুজনই স্কুলে পড়ে। বিভিন্ন সময় তাঁকে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের কারণে তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয়েছিল। গত বছরের মাঝামাঝি সময় তিনি ঢাকা দায়রা জজ আদালতে যৌতুকের কারণে নির্যাতন ও প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আবার বিয়ে করার অভিযোগে দুটি মামলা করেন।

ওই নারী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে না জানিয়ে ২০১৭ ও ২০১৯ সালে আরও দুটি বিয়ে করেন তাঁর স্বামী। এসব অভিযোগ নিয়ে তিনি একাধিকবার বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়নি বলে জানান তিনি।

এটা পারিবারিক ইস্যু। পারিবারিকভাবে সমাধান করা হবে।
আবদুল বাতেন মিয়া, জোনায়েত বাতেনের বাবা

বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক জোনায়েত বাতেনের স্ত্রী বিভিন্ন ছবি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আমি সেসব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। উনি গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না, সে তথ্য জানা নেই আমার।’

মামলার বিষয়ে জানতে জোনায়েত বাতেনের বাবা আবদুল বাতেন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা পারিবারিক ইস্যু। পারিবারিকভাবে সমাধান করা হবে।’ এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।