Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজধানীতে টাকা দিয়ে ৬৪ স্থানে গাড়ি পার্কিং করা যাবে

প্রথম আলো ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় টাকার বিনিময়ে গাড়ি পার্কিং করতে ৬৪টি স্থান অনুমোদন করেছে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। ঢাকা মহানগর পুলিশের সুপারিশের ভিত্তিতে এসব স্থানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে আজ রোববার ডিটিসিএর বোর্ড সভায় পার্কিংয়ের স্থানের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঢাকার যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।

ডিটিসিএ সূত্র বলছে, চিহ্নিত করা ৬৪টি স্থান ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ—দুই সিটি করপোরেশনেই পড়েছে। ঢাকার সড়কগুলো সিটি করপোরেশনের অধীনে, কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের। যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে সড়কে যানজট হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। গত নভেম্বরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সড়কে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৬৮টি স্থান চিহ্নিত করে। আলোচনার পর এর মধ্য থেকে ৬৪টি স্থানের অনুমোদন দেওয়া হয়। দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা পরে টোলের হার নির্ধারণ করবেন।

বর্তমানে নিউমার্কেট, মতিঝিলের সিটি সেন্টার, পলওয়েল মার্কেট এলাকায় টাকা দিয়ে সড়কে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিটিসিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রের নেতৃত্বে গত জুনে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাদের দুই মাসের মধ্যে যানজট সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবের কারণে কমিটি ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। এখন আবার নতুন করে কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।

কবে নাগাদ ঢাকাবাসী ফল দেখতে পাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার সমস্যা দীর্ঘদিনের। রাতারাতি এর পরিবর্তন হবে না। এ জন্য সময় বেঁধে দেওয়া ঠিক হবে না। তবে দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সভায় ঢাকার যানজট নিরসনে আন্তজেলা বাস টার্মিনালগুলো পর্যায়ক্রমে শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থান নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালীতে তিনটি বড় টার্মিনাল রয়েছে। এগুলো শহরের বাইরে নিয়ে গেলেও যাতে ভেতরের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সভায়।

সভায় ওবায়দুল কাদের জানান, সাভারের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি সাভারের বলিয়ারপুর থেকে শুরু হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা হয়ে লাঙ্গলবন্দ গিয়ে শেষ হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান প্রমুখ।