Thank you for trying Sticky AMP!!

র্যাগিং: জাহাঙ্গীরনগরে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

র‌্যাগিংয়ের দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সদস্যসচিব রহিমা কানিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রহিমা কানিজ বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের দিন (১৯ ডিসেম্বর) থেকে এ বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন শহীদ সালাম-বরকত হলের হারুন-অর-রশিদ ও মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম, মওলানা ভাসানী হলের রাইসুল ইসলাম, তাওসিফ আবদুল্লাহ, সালগ্রা রেমা, জাকির হোসেন ও মাহবুবুল আলম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের এনামুল হক, বেগম খালেদা জিয়া হলের সায়মা লিমা, সারা বিনতে সালাহ ও ফাবিহা বিনতে হক। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ‘র‌্যাগ’ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের সামনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ‘র‌্যাগিংয়ের ঘটনার’ মৌখিক জবানবন্দি দেন। সেই জবানবন্দি মুঠোফোনে রেকর্ড করা হয়।

প্রক্টর কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, তবে পরদিন (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মৌখিকভাবে দেওয়া জবানবন্দি ‘অতিরঞ্জিত’ ছিল— উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছে লিখিতভাবে ওই জবানবন্দি প্রত্যাহার করে নেন প্রথম বর্ষের ১৯ শিক্ষার্থী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপাচার্য ফারজানা ইসলামকে মুঠোফোনে রেকর্ড করা জবানবন্দি শোনান। পরে ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভার উপাচার্য ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। উপাচার্যের ওই প্রস্তাবের দিন পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ঘটন হয়েছিল।