Thank you for trying Sticky AMP!!

শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বুয়েটের 'পিতৃতুল্য' উপাচার্য

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুয়েট অডিটোরিয়ামে আলোচনায় বসেন বুয়েটের উপাচার্য সাইফুল ইসলাম। বুয়েট, ঢাকা, ১১ অক্টোবর। ছবি: দীপু মালাকার

আবরার ফাহাদ হত্যার পর নিজের কিছু ‘ঘাটতি’ রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

আজ শুক্রবার বুয়েট অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা কালে বুয়েটের উপাচার্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, আবরার ফাহাদ খুনের পর কিছু কাজ করতে গিয়ে তাঁর কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমার ঘাটতি ছিল পিতৃতুল্য হিসেবে আমি তোমাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েটের আন্দোলনকারীরা ১০ দফা দাবি পেশ করে। এ নিয়ে আজ বিকেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য কথা বলেন। সেখানে তিনি এসব দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানান।

তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার এজাহারভুক্ত ১৯ আসামিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। বুয়েটে র‌্যাগিং বন্ধ হবে।

উপাচার্য জানান, সরকার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে আশ্বস্ত করেছে।

বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্মরণে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: দীপু মালাকার

বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আলটিমেটাম দিয়েছিলেন, উপাচার্য যদি আজ শুক্রবার বেলা ২টার মধ্যে তাঁদের সঙ্গে দেখা না করেন, তাহলে বুয়েটের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেবেন। এমন পরিস্থিতিতে গতকালই উপাচার্যের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার কথা জানানো হয়।

আবরার হত্যার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো সকাল থেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। আজও সকালে তাঁরা মিছিল ও পথনাটকসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত রোববার রাত আটটার দিকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। ওই কক্ষে তাঁকে নির্যাতন করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রাত ৩টার দিকে হল থেকেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার ঘটনায় খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি, বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।