Thank you for trying Sticky AMP!!

শ্রম ভবনের সামনে গার্মেন্ট টিইউসির বিক্ষোভ

শ্রম ভবনের সামনে গার্মেন্ট টিইউসির বিক্ষোভে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)। বিজিএমইএ কর্তৃক সব গার্মেন্ট কারখানা লে-অফ ঘোষণা, অর্ধেকের বেশি কারখানায় গত মাসের মজুরি পরিশোধ না করা এবং গত চার সপ্তাহে কমপক্ষে ৩০ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার শ্রম ভবনের সামনে এ সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে গার্মেন্ট টিইউসি।

আজ বেলা ১১টায় শ্রম ভবনের ফটকে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট টিইউসির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ শ্রমিকনেতা বলেন, করোনা মহামারি একটি বৈশ্বিক দুর্যোগ। দুর্ভাগ্য যে, এই দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে গার্মেন্ট শিল্পের মালিকেরা ব্যাপক ছাঁটাই, কারখানা লে-অফ ঘোষণা ও শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করার মধ্য দিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে বড় বেল-আউট আদায়ের লক্ষ্যে দর কষাকষির কৌশল হিসেবে শ্রমিকদের জিম্মি করছেন। নানান জুলুম চাপিয়ে শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করছেন মালিকেরা।’

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বলা হয়, ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু মালিক পক্ষ ক্রয় আদেশ স্থগিত-বাতিলসহ নানা ছুতোয় সংকটের শুরুতেই শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ইতিমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। তা সত্ত্বেও মালিকেরা সব কারখানা একযোগে লে-অফ ঘোষণা করেছে, যা শুধু অমানবিক নয়, ঘৃণ্য বর্বরতা।

বিক্ষোভ থেকে মহামারি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির অধীন কারখানা বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই শ্রম আইনের ১৬ ধারা প্রয়োগ অর্থাৎ কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। এতে ব্যর্থ হলে, লে-অফের ফলে পরে যে শ্রমিক বিদ্রোহের আশঙ্কা রয়েছে, তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।