Thank you for trying Sticky AMP!!

সকালে যায়, দুপুরে আসে

ফাইল ছবি
  • পুরো শহরেই এখন কম-বেশি গ্যাসের সমস্যা আছে।
  • খিলগাঁও, বাড্ডা, রামপুরাসহ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের সংকট তীব্র।
  • সকাল ছয়টা-সাতটার দিকে অল্প গ্যাস থাকে।
  • সকাল আটটার দিকে একেবারেই গ্যাস থাকে না।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-সংকট তীব্র হয়েছে। প্রতিদিন এসব এলাকায় চার–পাঁচ ঘণ্টা গ্যাস থাকে না। এতে রান্না ও প্রাত্যহিক কাজকর্মে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের।

নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের (নাসফ) তথ্য অনুযায়ী, পুরো শহরেই এখন কম-বেশি গ্যাসের সমস্যা আছে। তবে খিলগাঁও, মিরপুর ১১, মিরপুর ১২, মিরপুর ৬, বাড্ডা, রামপুরা, লালবাগ, হাজারীবাগ, পুরান ঢাকার আলুবাজারে গ্যাসের সংকট তীব্র।

এসব এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, গ্যাস-সংকটের কারণে অনেক সময় সকালে না খেয়েই কাজে যেতে হয় অনেককে। না হয় রাতে রান্নার কাজ শেষ করে রাখতে হয়। সকাল ছয়টা–সাতটার দিকে অল্প গ্যাস থাকে। কিন্তু তাতে আঁচ থাকে না। এতে রান্না করা সম্ভব হয় না। সকাল আটটার দিকে একেবারেই গ্যাস থাকে না। বেলা একটা-দেড়টার দিকে গ্যাস আসে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। মাঝে কয়েক দিন বিকেল পর্যন্তও গ্যাস ছিল না।

তবে কিছু এলাকায় গত এক সপ্তাহে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা মাকসুদা বলেন, শীতে গ্যাসের চাপ একেবারেই কমে গিয়েছিল। বেলা দুইটার আগে রান্না করা সম্ভব হতো না। সপ্তাহখানেক থেকে গ্যাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনো আগের মতো স্বাভাবিক হয়নি।

রাজধানীর গ্যাস–সংকট নিরসনে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিডেটের জরুরি পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে নাগরিক অধিকার ফোরাম। গতকাল কারওয়ান বাজারে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ফোরামের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অপর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের কারণে নাগরিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। রান্নাবান্নাসহ গৃহস্থালি কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অপচয় বন্ধ করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ ক্ষেত্রে অনেক এলাকায় পুরোনো সরবরাহ লাইনগুলো পরিবর্তন অথবা এলাকাভেদে এর কারণগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

জানতে চাইলে ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস-সংকট নিয়ে গতকাল সংগঠনটির পক্ষ থেকে তিতাসের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গ্যাস-সংকটের বিষয়টি তিতাস কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয় এবং স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী জানান, ৩০টি ওয়ার্ডে ফোরামের কমিটি আছে। ফোরামের ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার গ্যাস-সংকট সম্পর্কে তাঁরা জেনেছেন। তিনি নিজে মিরপুর ১১ নম্বরে থাকেন। এই এলাকায় গ্যাস-সংকট তীব্র। তিনি বলেন, স্মারকলিপি দেওয়ার সময় তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁদের জানিয়েছেন যে চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। শীতের সময় চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়ে যায়। তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁদের বলেছেন, বিদেশ থেকে তরল গ্যাস আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। ওই গ্যাস এলে সংকট আর থাকবে না। এ ছাড়া পাইপলাইনের কারণে কোথাও কোনো সমস্যা হলে তিতাসের সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয়ে জানালে পাইপলাইন পরিবর্তন করা হবে।